সেখ রিয়াজুদ্দিন , বীরভূম, আপনজন: বীরভূমের বাজারে ঢুকছে চিনা রসুন - এই খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসলো বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ । বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সাতসকালে বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এক প্রতিনিধি দল শীতের মরসুমে উৎপাদিত আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজির বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণের জন্য সিউড়ি জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বাজার,কোর্ট বাজার এলাকায় আচমকা পরিদর্শন করে । আলুর দাম প্রতি কেজি ২৫ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা । অন্যান্য সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম দেখায় । বাজারে চিনা রসুন বিক্রি করার জন্যও বিশেষ নজরদারি তৈরি করা হয়েছিল যা বিক্রি নিষিদ্ধ । কয়েকটি গোডাউনে তল্লাশি চালিয়েও এইধরনের আপত্তিকর রসুন পাওয়া যায় নি বলে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে । অভিযান দুটি দিক নিয়ে গঠিত হয় । প্রথমত বর্তমান বাজারমূল্য মূলত আলু ও পেঁয়াজের মূল্যায়ন । উভয় সবজির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে মনে হচ্ছে । আলু ২৫ টাকা প্রতি কেজি এবং পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা প্রতি কেজি।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয় বাজারে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে জরিপ করা হচ্ছে । উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় বাজারে চীনা রসুন বেচাকেনা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ । চাষের সময় ছত্রাক নষ্ট করার জন্য এটি মিথাইল ব্রোমেইড ব্যবহার করে চাষ করা হয় যা মানবদেহে বিশেষ করে কিডনি এবং লিভারে অত্যন্ত প্রভাব ফেলে। তাছাড়া এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে । এজাতীয় রসুন ঘন,লালচে এবং রাসায়নিক মিশ্রিত জল ব্যবহার করলে তা সাদা হয়ে যায় । এইধরনের রসুন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নদীয়া মুর্শিদাবাদের মতো বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলার স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করছে । এই ধরনের রসুনের ওপর নজরদারি আরোপ করা হয় । বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাজারে এইধরনের অভিযান চলবে ।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct