জিয়াউল হক , পান্ডুয়া, আপনজন: পঞ্চায়েত থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে , সরকারি জেলা পরিষদের জমিতে তৈরি হচ্ছে দোকান ঘর, এই দোকানঘর নাকি লাখ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি হবে, এমনটাই অভিযোগ করলেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের বিরোধী দল নেতা অমিতাভ ঘোষ, পান্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি নামাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াগাছি তলা , সেখানে জেলা পরিষদের জমির উপর গড়ে উঠছে দোকান ঘর কমপ্লেক্স, হুঁশ নেই কারো, যদিও এলাকার মানুষ সমস্ত দপ্তরেই অভিযোগ করেছেন, কিন্তু টনক নড়েনি কারো, বেশ কয়েকদিন আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্ত জায়গাতেই সরকারি জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে, এত বড় নির্দেশের পরেও কিভাবে জেলা পরিষদের জমির উপর গড়ে উঠছে এতগুলি দোকানঘর, নজর নেই কারো। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন জানতাম না, জেলা পরিষদের জমি, তবে দোকান ঘর করার কোন পারমিশনই তারা নেয়নি, ঐ এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই দখলদারী চলছে না হলে এত বড় একটা মার্কেট হচ্ছে সেখানে কেউ জানে না এটা বিশ্বাস করা যায় না অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন যদি সত্যিই এইরকম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব, অন্যদিকে পান্ডুয়ার বিডিওর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কোন রকম কথা বলতে রাজি হননি,
এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এতগুলো দপ্তরের সাধারণ মানুষ যখন তাদের অভিযোগ জানালেন কোন দপ্তরের টনক নড়ল না , তাহলে কি সত্যিই কেউ জানেন না, পঞ্চায়েত ,বিডিও, বি এল আর ও, এলাকার সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, কারোর কাছেই কি খবর পৌঁছালো না, যদিও এ বিষয়ে প্রাক্তন বিধায়ক অভিযোগ করে বলেন এতগুলো দপ্তরের চিঠি পাঠানোর পরেও কেন কোন হেল দোল নেই,
তাহলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এতগুলো দপ্তর যদি একটি সরকারি জমি বাঁচাতে না পারে, তাহলে কে বাঁচাবে সরকারের জমি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct