আপনজন: ভোটদান প্রক্রিয়া ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিপ্রস্তর গঠন করে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে, ভারত প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকারকে গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব দেয়। এই প্রক্রিয়াটি সরকার গঠন নির্ধারণ করে, যা দেশের শাসন ও নীতি-নির্ধারণকে প্রভাবিত করে। .যাইহোক, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, ভারতীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোট সংগ্রহ রাজনৈতিক কৌশল ও কৌশলের ক্রমবর্ধমান প্রভাব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। চলমান রাজনীতিতে ভোট সংগ্রহ কৌশল রাজনৈতিক দলগুলি বেশ ভালো মতন রপ্ত করেছে। লিখেছেন পাশারুল আলম...
ভোটদান প্রক্রিয়া ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিপ্রস্তর গঠন করে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে, ভারত প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকারকে গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব দেয়। এই প্রক্রিয়াটি সরকার গঠন নির্ধারণ করে, যা দেশের শাসন ও নীতি-নির্ধারণকে প্রভাবিত করে। .যাইহোক, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, ভারতীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোট সংগ্রহ রাজনৈতিক কৌশল ও কৌশলের ক্রমবর্ধমান প্রভাব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। চলমান রাজনীতিতে ভোট সংগ্রহ কৌশল রাজনৈতিক দলগুলি বেশ ভালো মতন রপ্ত করেছে।
স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের নির্বাচনী ক্ষেত্রে নাটকীয়ভাবে বিকশিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, নির্বাচনগুলি জাতি গঠন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল। যাইহোক, সাম্প্রতিক সময়ে, রাজনৈতিক দলগুলি বুঝতে পেরেছে যে শুধুমাত্র উন্নয়নমূলক এজেন্ডাগুলির উপর নির্ভর করে ভোট সংগ্রহ পর্যাপ্ত কাঠামো নয়। তাই ভোটের রাজনীতি লক্ষ্য এবং কৌশল পরিবর্তিত করেছে। ফলস্বরূপ, তারা ভোটারদের কাছে সরাসরি আবেদন করার জন্য অর্থনৈতিক প্ররোচনা এবং ধর্মীয় মেরুকরণের মতো কৌশল অবলম্বন করেছে।
প্রথমেই অর্থনৈতিক প্ররোচনা বিষয়ে আলোকপাত করা যাক, রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই অর্থনৈতিক সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রলুব্ধ করে। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি ঋণ মওকুফ করার কথা বলা যায়। যা ঢাক ঢোল পিটিয়ে করা হয়। অন্যদিকে পুঁজিপতিদের ঋণ গোপনে গোপনে মওকুফ করা। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, রেশন স্কিম, বা সরাসরি নগদ হস্তান্তর। যদিও এই ধরনের পদক্ষেপগুলিকে কল্যাণমূলক উদ্যোগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাদের সময় এবং বাস্তবায়ন প্রায়শই নির্বাচনী লক্ষ্যগুলির সাথে সারিবদ্ধ হয়। উদাহরণস্বরূপ, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম মূল্য না দিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে, PM-KISAN প্রকল্প, যা কৃষকদের বার্ষিক ছয় হাজার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি। সমালোচকরা গ্রামীণ ভোট লাভের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসাবে দেখেছিলেন। এছাড়া রাজ্যে রাজ্যে বিভিন্ন নাম দিয়ে মহিলাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দান। এই প্রকল্পগুলির বিরোধিতা নয়, কিন্তু বাস্তবে জন সাধারণের ট্যাক্সের অর্থ গরিবদের প্রদান কল্যাণকর রাষ্ট্রের দায়িত্ব কিন্তু পুঁজিপতিদের ঋণ মুকুব কেন ? কেউ প্রশ্ন করে না, কেউ উত্তর দেয়না!
যাইহোক, অর্থনৈতিক প্রলোভন ফলাফলের সাথে আসে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, “বিনামূল্য ভারতের গভীর মূল সমস্যাগুলির সমাধান নয়। তারা আর্থিক অযৌক্তিকতা এবং দীর্ঘমেয়াদী অদক্ষতার দিকে পরিচালিত করে।” যদিও এই জাতীয় পরিকল্পনাগুলি স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক লাভ নিশ্চিত করতে পারে। এতে টেকসই উন্নয়ন এবং কাঠামোগত সংস্কার থেকে ফোকাস সরিয়ে নেয়। এছাড়া দল ও প্রার্থী অঢেল অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। ইদানিং আরেকটি বিষয় বেশ লক্ষ্যণীয় কোন একটি জনজাতি বা সংগঠন যখন বিভিন্ন জন-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়। সেই সংগঠনের মাথাকে সরকারি কোনো পদ বা যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে সেই ভোট ব্যাংকে নিজের আনুকূল্যে নিয়ে আসার প্রবণতা বেশ লক্ষণীয়। মৌমাছি যেমন দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মৌচাকে মধু সংরক্ষণ করে আর একজন মৌয়াল সেই মৌচাকের মধু কেটে নিয়ে চলে যায়। রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক মৌয়ালের মতন বিভিন্ন গণ সংগঠনের মধু কেটে নিয়ে চলে যায়। সেই সংগঠনের নেতৃত্ব সরকারি কোনো লোভনীয় পদ পায় কিংবা অর্থানুকুল্যে ফুলে ফেপে বড় হয়ে ওঠে।
এত গেল অর্থ ব্যয় করে ভোট সংগ্রহ করার পর্যায়। অন্য দিকে রাজনৈতিক দলগুলি একটি ভোট ব্যাংক তৈরি করে যা ফ্রিতে ভোট পাওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাহল ধর্মীয় মেরুকরণ।
ভারতীয় সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ধর্ম। এই ধর্মকে প্রায়শই নির্বাচনী অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো বিভেদ সৃষ্টি ও ভীতি সঞ্চার করতে ধর্মীয় অনুভূতিতে হেরফের করে। উদাহরণস্বরূপ, বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি ইস্যু ১৯৯০ এর দশকে ধর্মীয় ভিত্তিতে ভোটারদের মেরুকরণ করেছিল। এই মেরুকরণে লাভবান হওয়ার পর প্রতিটি নির্বাচনে কোন না কোনভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ করার কৌশল গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে নানান ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে একটি ফ্রি ভোট ব্যাংক তৈরি করা হয়। একইভাবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে নানান ধরনের আখ্যান তৈরি করে সংখ্যালঘু ভোট একত্রিত করে একটি ফ্রি ভোট ব্যাংক তৈরি করা হয়। এই ফ্রি ভোট ব্যাংক ধর্মীয় মেরুকরণ করে ব্যবহার করা হয়। এদের মগজ এমন ভাবে ধোলাই করা হয় যে, ফ্রিতে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। কেননা, তারা মনে করে ধর্ম বিপদে আছে। এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আমাকে ভোট দিতে হবে। এই ফ্রি ভোটারদের মাথায় দেশের নানাবিধ সমস্যা যেমন বেকারত্ব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিংবা বিশাল অর্থনৈতিক বৈষম্য কোন কিছুই গুরুত্ব পায় না।
এই কৌশল কেবল সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেই ক্ষুণ্ন করে না বরং সমাজে দীর্ঘস্থায়ী বিভাজনও তৈরি করে। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন তাই সতর্ক করেছিলেন, “একটি খণ্ডিত সমাজ অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর। মেরুকরণ সমষ্টিগতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে সীমিত করে।”
এই কৌশলগুলির ব্যবহার রাজনৈতিক লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে। তবে গণতান্ত্রিক নীতির ক্ষতি করে। স্বল্পমেয়াদী নির্বাচনী লাভের উপর ফোকাস প্রায়শই বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে অবহেলার দিকে নিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭-১৮ সালে দেশের বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছলেও, এটি নির্বাচনী বিতর্কে আধিপত্য বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বে ক্ষুধার সূচকে ভারত ১০৭ নম্বরে গেলেও সেগুলি নির্বাচনী ইস্যু হয়না। পরিবর্তে, সাম্প্রদায়িক এবং জন হিতকর বক্তৃতা রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে এসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এরফলে ভোটাররা যখন অর্থনৈতিক প্ররোচনা বা ধর্মীয় ভয় দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন তাদের স্বাধীন ও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বিঘ্নিত হয়। ভারতীয় সংবিধানের স্থপতি বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকর জোর দিয়েছিলেন, “নির্বাচনের পবিত্রতা ভোটারদের স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত, জোরপূর্বক বা কারচুপি থেকে মুক্ত।” . ভোটাদের স্বাধীনতার অপব্যয় সামাজিক বিভাজন বৃদ্ধি করে। ধর্মীয় মেরুকরণ সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ বাড়ায়, জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার মতো ঘটনা কিংবা সদ্য ঘটে যাওয়া সম্ভল এর ঘটনা তুলে ধরে যে, কীভাবে বিভাজন মূলক রাজনীতি বাস্তব এবং বিধ্বংসী পরিণতি হতে পারে।
এই সমস্যার কি কোনো সমাধান নেই। এইভাবে কী দেশ চলতে পারে ? এই ধরনের নানা বিধ প্রশ্নের মুখে আজকের গনতন্ত্র। তাই একটি ন্যায্য ভোটিং প্রক্রিয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক।
ভারতের গণতন্ত্রের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবার প্রথমে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং শিক্ষা বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য দেওয়া। শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে ভোটারদের ক্ষমতায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নানা বিধ সচেতনতা মুলক প্রোগ্রাম করা যা নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে অবহিত করবে। ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করে হেরফেরমূলক কৌশলগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস করতে পারে। মহাত্মা গান্ধী যথার্থই বলেছিলেন, “শিক্ষাই জাতির প্রকৃত সম্পদ।”
এছাড়া নির্বাচনী সংস্কার করা জরুরী। ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিআই) অনিয়ম রোধে কঠোর সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে। প্রাক-নির্বাচন কাকে বিনামূল্যে প্রদান নিষিদ্ধ করা। এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্যের জন্য দোষীদের বিচার করার মতো পদক্ষেপগুলি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করতে পারে। উপরন্তু, নৈতিক রাজনীতি ও ন্যায্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আদর্শ আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। অনৈতিক কৌশল প্রতিরোধে রাজনৈতিক ব্যয় এবং প্রচারণার অর্থায়নের ওপর নজরদারি অপরিহার্য। ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, কমন কজ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায়, নির্বাচনী বন্ড এবং দলীয় অর্থায়নে বৃহত্তর স্বচ্ছতার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিষয়টিকে আরও বৃহত্তর আকারে প্রয়োগ করে রাজনৈতিক দলগুলি অর্থ সংগ্রহকে স্বচ্ছতার মধ্যে নিয়ে আসা। পুঁজিপতিদের প্রদত্ত অর্থের বিনিময়ে তাদের কিছু দেওয়া হচ্ছে কিনা তা নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য উন্নয়নমূলক রাজনীতির প্রচার করা। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সেই বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেগুলো সত্যিকার অর্থে জন সাধারণকে প্রভাবিত করে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সবুজ বিপ্লব এবং মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের মতো স্কিমগুলির সাফল্য দেখায় যে, উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলি হেরফের না করে কীভাবে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারে। এই বিষয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে অনুশীলনের উদাহরণ বর্তমান। উদাহরণ স্বরূপ, নির্বাচনের সময় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উপর কেরালা সরকার তুলে ধরে যে, কিভাবে উন্নয়নমূলক বিষয়গুলি নির্বাচনী বিতর্কে প্রাধান্য দিতে পারে। একইভাবে, দিল্লি সরকারের অধীনে স্কুল ও হাসপাতালের সংস্কার উন্নয়নমূলক রাজনীতির শক্তি প্রদর্শন করে।
উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া হল তার গণতন্ত্রের মেরুদন্ড। যা আজকের দিনে রাজনৈতিক কৌশলে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এতে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার চেয়ে স্বল্পমেয়াদী লাভকে অগ্রাধিকার দেয়। অর্থনৈতিক প্ররোচনা এবং ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা, ঐক্য এবং অগ্রগতির নীতিগুলিকে দুর্বল করে। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে এ.পি.জে. আবদুল কালাম বলেন, “ব্যালট বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী, তবে জ্ঞান ও দায়িত্বশীলতার সাথে চালিত হলেই।” ভারতের গণতন্ত্রের পবিত্রতা রক্ষা করতে, ভোটার এবং রাজনৈতিক দল উভয়কেই একটি দায়িত্বশীল পন্থা অবলম্বন করতে হবে। বিভাজনমূলক কৌশলের চেয়ে উন্নয়ন, শিক্ষা এবং ঐক্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত তার গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতন ভোট ব্যবস্থা গ্রহন করে অন্যান্য জাতির জন্য একটি মডেল হিসাবে কাজ করতে পারে। সামনের পথের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি থাকুক ভারতবাসীর অঙ্গীকার।
***মতামত লেখকের নিজস্ব
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct