আপনজন ডেস্ক: লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোর মন্ত্রিসভার এক সদস্য ও ২০২২ সালের নির্বাচনে তার রানিং মেট জেনারেল ওয়াল্টার ব্রাগা নেট্টোকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নভেম্বরে ব্রাগা নেট্টো, বোলসোনারোসহ আরো ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের র্নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্ষমতায় থাকার জন্য অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। প্রসিকিউটররা এখনও ব্রাগা নেট্টোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেননি। মূলত প্রমাণ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শনিবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে। প্রসিকিউটর-জেনারেলের কার্যালয়ের পর্যালোচনা ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেজান্দ্রে ডি মোরায়েসের অনুমোদনক্রমে এই পরোয়ানা জারি হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোলসোনারোর এক সাবেক সহকারীর সাক্ষ্য জানার জন্য ব্রাগা নেট্টো চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে জোরালো প্রমাণ রয়েছে। ওই সহকারী তদন্তকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছিলেন। পুলিশ ব্রাগা নেট্টো ও তার সহকারী কর্নেল ফ্লাভিও বোতেলহো পেরেগ্রিনোর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বোলসোনারোর চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ব্রাগা নেট্টো। পরবর্তী সময়ে ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে ছিলেন তিনি। ফেডারেল পুলিশের প্রতিবেদনে তাকে অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারী প্রধান নেতাদের একজন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৮৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান সফল করার জন্য কয়েক ধাপের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরমধ্যে ছিল জনগণের মধ্যে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি অবিশ্বাস তৈরি করা, এই পরিকল্পনাকে আইনি কাঠামো দেওয়ার জন্য এই আদেশ জারি করা পারে, সামরিক নেতাদের তাল মিলিয়ে চলতে চাপ দেওয়া ও রাজধানীতে দাঙ্গা উসকে দেওয়া। এছাড়া, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরালদো আলকমিন ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেজান্দ্রে ডি মোরায়েসকে হত্যার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct