আপনজন ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানা ও পাঞ্জাব রাজ্যের মধ্যবর্তী শম্ভু অঞ্চল আজ শনিবার কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে আন্দোলনরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হরিয়ানা পুলিশকে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি চার বছরেও পূরণ না হওয়ায় দাবি আদায়ে কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তবে পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত আজ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন কৃষকেরা।
২০২০-২১ সালে কৃষকেরা দিল্লি অবরোধ করেছিলেন। তখন কৃষকদের প্রধান বক্তব্য ছিল, বেসরকারি মালিকানাধীন বৃহৎ ব্যবসায়িক সংস্থার পুঁজিকে কৃষিক্ষেত্রে ঢালাওভাবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কৃষি বিল এনে কেন্দ্রীয় সরকার সেই চেষ্টা করেছিল, যার বিরোধিতা করেছিলেন কৃষকেরা। সে সময়ে কৃষকদের সেই দাবি মানতে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। এবার আন্দোলনে কৃষকদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলো গত চার বছরেও পূরণ হয়নি। এর মধ্যে প্রধান দাবি ছিল, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (ন্যূনতম সমর্থন মূল্য–এমএসপি); অর্থাৎ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে কৃষিপণ্যের একটি ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করা এবং সেই অর্থ দিয়ে কৃষিপণ্য কৃষকদের কাছ থেকে সরকারের কিনে নেওয়া। তবে কোনো সাধারণ চুক্তি করলে হবে না। কৃষকদের দাবি, আইন মোতাবেক এই চুক্তি করতে হবে, যাতে কোনো সরকার ভবিষ্যতে বলতে না পারে যে তারা ন্যূনতম নির্ধারিত মূল্যে কৃষিপণ্য কিনবে না। সরকার এই চুক্তিতে যেতে নারাজ। ফলে আবার নতুন করে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে উত্তর ভারতে। আজ শনিবার কৃষকেরা দুপুর ১২টা নাগাদ পাঞ্জাব থেকে তাঁদের পদযাত্রা শুরু করে শম্ভু সীমান্তে পৌঁছেন। সেখানে তাঁদের আটকাতে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেখানে ওই জেলা; অর্থাৎ আম্বালার ডেপুটি কমিশনার পার্থ গুপ্ত এবং পুলিশ সুপার এস এস ভোরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct