আপনজন ডেস্ক: লোকসভায় সংবিধান নিয়ে বিতর্কের প্রথম দিনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি তার প্রথম বক্তৃতায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি নানা জনবিরোধী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তার বক্তৃতার সময়, তিনি সাম্প্রদায়িকতা, মণিপুরে সহিংসতা, কৃষকদের অবস্থা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেন, সম্ভলের শোকসন্তপ্ত পরিবারের কিছু লোক আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এদের মধ্যে আদনান ও উজাইর নামে দুই শিশু রয়েছে। তাদের একজনের বয়স আমার ছেলের মতো এবং অন্যজনের বয়স ১৭। তাদের বাবা ছিলেন দর্জি। দর্জির একটাই স্বপ্ন ছিল, তিনি তার সন্তানদের লেখাপড়া করাবেন। এক ছেলে ডাক্তার হবে, আরেক ছেলেও সফল হবে। প্রতিদিনের মতো সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তারা জানতেন না যে দাঙ্গা হবে। তিনি তার দোকানে যাচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশ তাকে গুলি করে। ১৭ বছরের আদনান আমাকে বলেছিল সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। সে তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে। ভারতের সংবিধান তাঁর হৃদয়ে এই স্বপ্ন ও আশার সঞ্চার করেছে। তিনি আরও বলেনম উন্নাওয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার বয়স ২০-২১ বছর হবে। আমরা কল্পনা করতে পারি না যে মেয়েটি কিভাবে বারবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে হত্যা করা হয়। তার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার সাহস সংবিধান দিয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ সাংসদ বলেন, ২০ কোটিরও বেশি সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানানোর কাজ চলছে। তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাদের উপাসনালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষ শাসনের সংজ্ঞা? উত্তরপ্রদেশে এমন ঘটনা ইচ্ছাকৃত। যে সময় ইউপি নির্বাচন চলছিল তখন যারা ভোট দিচ্ছিল তাদের ভোট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমন ব্যবস্থা ছিল যে তাঁরা বুথে পৌঁছতে পারেননি। যে ছবি গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব দেখেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct