বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার, আপনজন: কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে পশ্চিম বঙ্গ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে এবং ডায়মন্ড হারবার জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের ব্যবস্থাপনায় কপাট হাট কানাড়া ব্যাংকের সামনে এক সভা কক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জমিয়ত সম্পাদক, মুফতি আমিনুদ্দিন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জমিয়তে উলামায়ে সভাপতি হাসানুজ্জামান, রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুফতি এমদাদ প্রমুখ। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১২টি শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন ওয়াকফ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলিকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে যুক্ত করে, রাজ্য জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে ধর্মের স্বাধীনতা, তাদের পছন্দের ধর্ম গ্রহণ করার এবং প্রচার করার অধিকার দিয়েছে। এই সংবিধান আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেন, মৌলিক প্রশ্ন হল এই ধর্মীয় স্বাধীনতা কোথায়? কখনো এসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়, আবার কখনো অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের কথা ওঠে। ওয়াকফ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনগুলি বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, কারণ তারা ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তগত করার পরিকল্পনা করছে। এ ধরনের কাজ ও প্রচেষ্টা সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অতএব, আমরা দৃঢ়ভাবে দাবি করছি যে সংবিধান রক্ষা করা অপরিহার্য। আজকের সবচেয়ে বড় হুমকি হল ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, যা সকল নাগরিককে সমান অধিকার ও ক্ষমতা প্রদান করে। এই সংবিধানে সংখ্যালঘুদের বিশেষ অধিকারও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এখন এই অধিকারগুলো কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপি সরকারের এই ধরনের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা সব রাজনৈতিক দলেরই কাজ। তিনি আরও দাবি করেন যে দেশ ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংবিধান বাঁচাতে এগিয়ে আসা সকল নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব। ওয়াকফ (সংশোধন) বিল, ২০২৪, বেআইনিভাবে দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য কঠোর অডিট স্বচ্ছতা এবং আইনি প্রক্রিয়া সহ ব্যাপক সংস্কারের সূচনা করতে চায় তারা। যাইহোক, প্রস্তাবিত বিলটি ওয়াকফ বোর্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধীদের সমালোচনা পেয়েছে, এটিকে তাদের ধর্মীয় অধিকারের সম্ভাব্য লঙ্ঘন হিসাবে দেখছে। তিনি আরো জানান এবং তিনি উপস্থিত সকল ইমাম ও মসজিদ কমিটিদের উদ্দেশ্যে করে বলেন বিশেষ করে যেখানে মুসলিম জনবস্তি কম, অর্থের সমর্থ হলে তোমরা মসজিদের দরজা,জানালা ও চার পাশে ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেবে। যদি একান্ত সামর্থ না হয় অন্যত্র বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে দেবে। ষড়যন্ত্র করে যাতে অন্যান্যরা মসজিদে প্রবেশ না করতে পারে অর্থাৎ মসজিদে কোনো ক্ষতি না করতে পারে। যদি ক্ষতি করে তখন মুসলিমদের সেন্টিমেন্টে লাগবে তাৎক্ষণিক কিছু করে বসবে তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে,তাই সকলকে মসজিদকে নজর দাড়ি করতে বলে জান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct