নিজস্ব প্রতিবেদক , কলকাতা, আপনজন: ‘বর্তমান অস্থির বিশ্বে বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বড় প্রয়োজন ছিল কাজী নজরুল ইসলামের।’ কলকাতার বিটি রোডে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে ‘কাজী নজরুল ইসলাম: বৈচিত্র্যময় সাংগীতিক সৃষ্টিসম্ভার’ বিষয়ে দু’দিনের আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা উদ্বোধন করে কথাগুলি বলেন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক বরুণ কুমার চক্রবর্তী অসুস্থ কবিকে দু’বার স্বচক্ষে দেখার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে শ্রোতাদের শিহরিত করেন। তিনি শুদ্ধসুরে নজরুলগীতি গাওয়ার উপরে জোর দেন। হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শেখ কামাল উদ্দীন ‘কাজী নজরুল ইসলামের নাটকের গান’ নিয়ে আলোচনায় জানান, কিভাবে কবি তাঁর কবিতার সঙ্গে সঙ্গে নাটকের গানেও দেশপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেমের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদী সত্তাকেও তুলে ধরেছিলেন।
বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক অসিত রায় কবির বিভিন্ন রাগের গান গেয়ে তাঁর গানের বিচিত্র সম্ভারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন উপাচার্যসহ উপস্থিত অতিথিরা। এদিন কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের প্রধান তথা চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নূপুর গাঙ্গুলীর সম্পাদিত ‘সমাজ চিত্রের প্রেক্ষিতে ঝুমুর গানের ভূমিকা’ গ্ৰন্থটি প্রকাশ করেন উপাচার্য ও অতিথিরা। দ্বিতীয় দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ্মিনী দে, আমেরিকা থেকে আগত পণ্ডিত সমীর চ্যাটার্জী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজ্যশ্রী ঘোষ কবির গানের বহুমুখিতা নিয়ে আলোচনা করেন। দু’দিন ধরে চলা আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের পঁয়তাল্লিশ জন অধ্যাপক-গবেষক তাঁদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দু’দিনের আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক আশিস কুমার সামন্ত, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায়, ড. সুজাতা দে, ড. অংশুমিতা নন্দী, ড. সুতপা দে আইচ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক নূপুর গাঙ্গুলী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct