সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: নেই স্থায়ী চিকিৎসক একজন মাত্র নার্স ও একজন গ্রুপ ডি কে নিয়েই চলছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে দাবি এলাকাবাসীদের। অতীতে গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকঠাক ভাবে পৌচ্ছে দিত। তবে বর্তমানে অধিকাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়েছে। সেরকমই একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম হল বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের মন্ডলগ্রাম অঞ্চলের অড়রা নিউ পিএইচসি। একসময় এই মন্ডলগ্রাম অঞ্চল সহ এই অঞ্চলের লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক গ্রামের মানুষজন এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিত। প্রায় চল্লিশটি গ্রামের মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পরিষেবা নিত। এখন সেসব অতীত। এখন হাসপাতালে নেই স্থায়ী চিকিৎসক বর্তমানে একটি মাত্র নার্সিং স্টাফ ও একজন গ্রুপ ডি কর্মীকে নিয়ে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে। পরিষেবা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে এবং নজরদারীর অভাবে নষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সম্পত্তি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। অন্যদিকে এই এলাকার সিংহভাগ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল, চাষ জমি দেখেছি কাজ করার সময় অনেক সময় সাপের কামড় খেতে হয় চাষীদের এবং তার জন্য চিকিৎসা পাওয়া যায় না এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং অন্যান্য শারিরীক সমস্যা একটু বেশি হলেই ছুটে যেতে হয় ১৬-১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিমলাপাল ব্লক হাসপাতালে। এলাকাবাসীদের দাবি অবিলম্বে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আগের মত শুরু হোক। স্থায়ী চিকিৎসক স্থায়ী নার্স গ্রুপ ডি কর্মীসহ একজন ফার্মাসিস্ট আসুক প্রতিনিয়ত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতে করে স্বাস্থ্য পরিষেবা এলাকার প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে পায়।
এই বিষয়ে সিমলাপাল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান এই বিষয়ে তারা উচ্চপদস্থ পর্যায়ে জানিয়েছেন, তবে চিকিৎসক স্থায়ী না পাওয়ায় একজন কন্ট্রাকচুয়াল চিকিৎসক ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেওয়া আছে। আরো বলেন এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব কোন স্টাফ নেই। কোনো রকম স্বাস্থ্যকেন্দ্র টিকে টিকিয়ে রাখতে বা হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বজায় রাখতে অন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একজন নার্সিং স্টাফ ও একজন গ্রুপটি স্টাফকে এই অড়রা নিউ পিএইচইসি তে রাখা হয়েছে। এখন আউটডোর পরিষেবা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহ বাবু জানান বিষয় নিয়ে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি চিকিৎসকের সংকট মিটলে হয়ত এই সমস্যা আর থাকবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct