সেখ রিয়াজুদ্দিন , বীরভূম, আপনজন: দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক এবং খয়রাশোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নামে মঙ্গলবার সাতসকালে খয়রাশোল ব্লক অফিস থেকে পান সিউড়ি যাবার পথে কালভার্টের পিলারের গায়ে সাঁটানো বেশ কিছু লাল কালিতে লেখা হুঁশিয়ারি মূলক পোস্টার ঘিরে দেখা দেয় চাঞ্চল্য। সেখানে লেখা ছিল - ‘বিডিওর রক্ত চাই। বাংলাকে বাঁচাতে চাই । নকশাল জিন্দাবাদ । সিপিআইএম এল লাল সেলাম। মার্ক্সবাদ - লেলিন বাদ জিন্দাবাদ। আবার কোনো পোস্টারে লেখা ছিল “বিধায়কের মুন্ডু চাই,ফোর্স তুমি দূর হটো ।” এই পোস্টার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে খয়রাশোল থেকে পানসিউড়ী যাওয়ার রাস্তার বিভিন্ন দেওয়ালে আলতা দিয়ে লেখা রয়েছে পোস্টার । সিপিআইএমএল নাম দিয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে । বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের । খয়রাশোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ।” দুবরাজপুর বিধানসভাকেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কিছু সমাজবিরোধী ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এলাকা সন্ত্রস্ত করতে চাইছে । আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবো । প্রশাসন যাতে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয় । উল্লেখ্য, আগের দিন অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর খয়রাসোল সিপিআইএম পার্টি অফিসে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় সিপিআইএম নেতা ষষ্ঠী বাউরীর। গত ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর খয়রাসোল সিপিআইএম পার্টি অফিসের মধ্যে মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছিলেন তিনি। এবিষয়ে সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ গোপ বলেন, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দিন কয়েক আগেই খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে খয়রাশোল বিডিও এবং দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল কুমার গায়েন বলেন খয়রাশোলের বুকে এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের ধারাকে বিঘ্নিত করতে কিছু দুষ্কৃতীর তথা বিরোধীদের চক্রান্ত। বিডিও যথেষ্ট দক্ষতার এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছেন। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী অসীমা ধীবরের বক্তব্য, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিষয়ে বলেন আমাদের এখানে কোন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct