আপনজন ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় বাকি থাকতে, মঙ্গলবার কংগ্রেস-আরজেডি জোটে ফাটল দেখা দেয় যখন লালুপ্রসাদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বর প্রতি তার সমর্থন জানান। লালু বলেন, মমতাকে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক বক্তব্য সম্পর্কে তিনি কী ভাবছেন সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেসের কট্টর শরিক লালু প্রসাদ যাদবের বক্তব্য চাঞ্চল্য ৃসষ্টি করে। আরজেডি সুপ্রিমো বলেন, হ্যাঁ, ওঁর নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। মমতাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া উচিত (মমতা কো দো)।
বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সহ-সচিব শাহনওয়াজ আলম কংগ্রেসের প্রতি লালু আর ছোট ভাইয়ের ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক নয় বলে ইঙ্গিত দেওয়ার একদিন পরেই কংগ্রেসের প্রতি লালু তার মনোভাব ব্যক্ত করেন। খাগাড়িয়া জেলায় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহনওয়াজ আলম বলেন, রাজনীতিতে কেউ বড় ভাই বা ছোট ভাই নয়। বিধানসভা ভোটে কোন দল কত আসনে লড়বে, তা লোকসভা ভোটে স্ট্রাইক রেট সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে স্থির করতে হবে।
রাজ্যের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৩টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আরজেডির হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে মহাজোটে জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর কংগ্রেস যে ৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তার মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল। গান্ধি পরিবারের সঙ্গে লালু প্রসাদের চমৎকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও দুই দলের মধ্যে যে খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষাপটেও আলমের আক্রমণাত্মক অবস্থানকে দেখা যেতে পারে, কারণ আরজেডি একতরফাভাবে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল যা কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করেছিল।
এই আসনগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল পূর্ণিয়া, যেখানে কংগ্রেস একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। কারণ প্রাক্তন সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব দলের টিকিট পাওয়ার আশায় আরজেডিতে যোগ দিয়েছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct