সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী, আপনজন: প্রতিবাদী এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠলে প্রতিবেশী তিন যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত আমঝাড়া পঞ্চায়েতের তালদা মাইতি পাড়ায়। দীপঙ্কর বৈরাগী নামে আক্রান্ত যুবক আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর তালদা মাইতি পাড়ার যুবক দীপঙ্কর বৈরাগীর ধানজমিতে ধান কেটেছিলেন। একটি বীজতলা ফেলেছিলেন। জমির পাশে থাকা পুকুরের জলে তা ভে েগলে প্রতিবাদ করেন দীপঙ্কর। অভিযোগ সেই সময় বাপি মাইতি,কিঙ্কর মাইতি, হাসা ওরফে বিশ্বজিত মাইতিরা তিন ভাই মিলে প্রতিবাদী যুবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিযোগ বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি প্রতিবাদী যুবককে ধারালো অস্ত্রদিয়ে তার বাম হাতে কোপ মারে।রক্তাক্ত অবস্থায় ক্ষেতের মধ্যে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে। পালিয়ে যায় তিন ভাই। অন্যদিকে চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে আক্রান্ত যুবকের পরিবারের লোকজন। তারা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে আক্রান্ত যুবক ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত যুবক জানিয়েছে, ‘মাইতিরা পুকুর ছিঁচেছিলো। পুকুরের সমস্ত জল আমার কাটা ধানে,বীজতলা ও পুকুরে চলে আসে। ভেসে যায় বীজতলা ও পুকুর।ক্ষতি হয় কাটা ধান। প্রতিবাদ করেছিলাম। অতর্কিতে মাইতি পরিবারের তিন ছেলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেধড়ক মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাম হাতে কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় ক্ষেতের মধ্যে পড়ে যাই। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে।হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct