আপনজন ডেস্ক: মধ্য প্রদেশের রাতলামে একজন যুবক ৬, ৯ এবং ১১ বছর বয়সি তিন শিশুকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করতে মারধর করার ঘটনা ঘটে। ওই তিন শিশু-কিশোরের প্রতি ওই যবুকের অমানিবকতার ভিডিও আসায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের আরও দৃ্টান্ত সামনে উঠে এসেছে। মাস দেড়েক আগের সেই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পুলিশ অত্যাচারিত শিশুদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির সিঁড়িতে তিন ুমুসলিম শিশু বসে আছে। সেখানে এক যুবক শিশুদের বলছেন যে তারা সিগারেট খাওয়া শিখছে। তোমার বাবার নাম্বারটা বলো। তারপর গালিগালাজও করতে থাকে। এরপর চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। সেই সময় একজন শিশু সেই মার সহ্য করতে না পেরে ‘ইয়ে আল্লাহ’ বলে ওঠে যন্ত্রণায়। তখন ওই যুবক নিজের জুতো পা থেকে খুলে তাকে নিরন্তর মারতে থাকে। শুধু তাকে নয় তার পাশে থাকা অপর দুই শিশুকে িনর্মমভাবে মারে। তারপর তাদেরকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। সেসময় ভয়ে তিন শিশুকে হাত উঁচু করে কাতর কণ্ঠে জয় শ্রীরাম বলতে দেখা যায়। সেই লাঞ্ছিত করার দৃশ্য ওই যুবকের এক সঙ্গী ভিডিও রেকর্ড করে বলে জানায়।
ওই শিশু-কিশোরেদের পরিবারকে মামলা দায়েরে সহায়তা করা মাজকর্শী ইমরান খোখার অভিযোগ করেন, ঘটনাটি এক মাস আগে ঘটেছিল কিন্তু একজন সন্দেহভাজন ‘মদ্যপ’ অবস্থায় ভিডিওটি ফাঁস করে দেন। তিনি মজা করার জন্য ভিডিওটি শেয়ার করেন। ভুক্তভোগী তিনজন এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যে ঘটনাটি তারা বাড়ির কাউকে বলতে সাহস পায়নি। ভিডিও ভাইরাল হওযার পর তারা তাদের পরিবারকে জানায়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর রাতে মানকচক থানার বাইরে এক বিশেষ ধর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হন। থানার বাইরে ক্রমবর্ধমান ভিড় দেখে এএসপি রাকেশ খাখা, সিএসপি সত্যেন্দ্র ঘাঁঘোরিয়া, এসডিওপি কিশোর পাটানওয়ালা, ডিএসপি অজয় সারওয়ান এবং শহরের সমস্ত থানার ইনচার্জ, বিলপাঙ্ক থানার ইনচার্জ সহ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। লোকজনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি জনতাকে বুঝিয়ে বিদায় দেন।
এক ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার ছেলে লাঞ্ছনার কথা বলতে সাহস পায়নি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যে ছোট ছোট শিশুরাও ঘৃণার শিকার হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct