আলম সেখ , কলকাতা, আপনজন: বাংলা ও দেশের সমস্ত জিনিসের মুল্য দ্রুত বৃদ্ধি হয়ে থাকলেও পাউরুটি ও বেকারিজাত দ্রব্যের মূল্য কম রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটি, বুধবার কোলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান সংগঠনের সম্পাদক সেখ ইসমাইল হোসেন। এদিন বেকারিজাত দ্রব্যের নবনির্ধারিত মূল্যের ঘোষণার্থে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান বাজার মূল্য ও তাঁদের সংগ্রাম সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটির সম্পাদক সেখ ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন— ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে যেই ময়দা প্রতি কুইন্টালে ৩ হাজার টাকা দাম ছিল সেটা ২০২৪ এর ডিসেম্বরে ৩৭০০ টাকা হয়েছে, যেই চিনি ৩৮০০ টাকা কুইন্টাল ছিল তা ৪২০০ টাকা হয়েছে, ডালডা/তেল ১০০ টাকা কেজি থেকে থেকে ১৫০ হয়েছে, পলিথিন ব্যাগ ২০০ টাকা কেজি থেকে ২৫০ টাকা হয়েছে, জ্বালানি কাট ৮০০ টাকা কুইন্টাল থেকে ১০০০ টাকা হয়েছে। পাশাপাশি বেকারী শিল্পের ব্যবহৃত কেমিক্যাল যেমন গুলেটিন, ক্যালসিয়াম—এর দাম ২৫ ভাগ বৃদ্ধি হয়েছে ও বিদ্যুতের দাম শতকরা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারিজাত দ্রব্যের উৎপাদনের এই সমস্ত কাঁচা মালের দাম কমানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটি রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের কাছে দ্বারস্থ হলেও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি, কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ হয়নি তাই পাউরুটি ও বেকারীরিজাত দ্রব্য উৎপাদনের সাথে জড়িত কর্মীদের স্বার্থে পাউরুটির দাম প্রতি ৪০০ গ্রামে ৩৬ টাকা, প্রতি, ২০০ গ্রামে ১৮ টাকা, প্রতি ১০০ গ্রামে ৯ টাকা করা হচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে। পাউরুটির পাশাপাশি কেক, বিস্কুট, প্যাডিস, পিজা, বার্গার এরকম ১০০ বেকারীজাত দ্রব্যের মূল্য ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন তিনি।
এই সমস্ত দ্রব্য প্রচলনের ইতিহাস ও তার বর্তমান চাহিদা নিয়েও নানান কথা বলেন তিনি। তাছাড়া এই শিল্পকে বাঙালি নির্ভর শিল্প বলেও আখ্যায়িত করেন সম্পাদক সেখ ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র কলকাতায় দৈনিক ৪ লক্ষ পাউন্ড ও সম্পূর্ণ রাজ্যে ১০ লক্ষ পাউন্ড উৎপাদন করে থাকে ৪-৫ লক্ষ কর্মী। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার কোনো সহযোগিতা না করাই নিরুপায় হয়ে প্রতি ৪০০ গ্রাম পাউরুটিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটির সভাপতি দিয়ানৎ আলি খান ও চেয়ারম্যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct