সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, পরিকাঠামো, পঠন-পাঠন, ভর্তি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে রাজ্যের পাঁচ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার আলিগড়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাইমা খাতুনের সঙ্গে। খলিলুর ছাড়াও অন্য সাংসদরা হলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, আরামবাগের সাংসদ মিতালী বাগ ও রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তবে, এই সাংসদদের সঙ্গে ছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহাবুর রহমান, ড, আশরাফুল, ড. পলাশউদ্দিন সেখ, ড. তহসিন মণ্ডল, রফিকুজ্জামান প্রমুখ। এএমইউ-এর প্রাক্তনী হিসেবে ছিলেন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর মোসাব। এছাড়া ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন, রুহুল আমিন, আরিফুল, আদিল, কিসমত, হামজা, শামিম, করিম, সুহেব, রুমি প্রমুখ।
এদিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাইমা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সাংসদ খলিলুর রহমান টেলিফোনে ‘আপনজন’কে বলেন, অামরা উপাচার্যকে জানিয়েছি ২০১০ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস চালু হয় সুুতি থানার আহিরনে। তার পর েথকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বিষয়ে এই মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে পড়াশুনা হয়। সেগুলি হল, এমবিএ, বিএএলএলবি ও বিএড। খলিলুর জানান, উপাচার্য নাইমা খাতুনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে আলিগড়ের মূল ক্যাম্পাসের মতো মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসেও যেন অন্যান্য বিষয়য়ের পঠনপাঠন চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে আবেদন রাখা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কম শতাংশ হলেও বাংলার পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে বরাদ্দ করার অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে যেমন বাইরের রাজ্যের পড়ুয়ারা পড়ছেন তা ভাল, কিন্তু মুর্শিদাবাদের স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা যাতে সেই সুযোগ পায় তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে অর্থ বরাদ্দের কথাও বলা হয় উপাচার্যকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct