সারিউল ইসলাম , মুর্শিদাবাদ, আপনজন: কলেজ চত্বরে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি টাঙানোই বিতর্ক। লালবাগ সুভাষ চন্দ্র বোস সেন্টিনারি কলেজের চত্ত্বরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আবু তাহের খান, অপূর্ব সরকার, রবিউল আলম চৌধুরী এবং মহম্মদ আলীর ছবি টাঙানো হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা ওই ছবি টাঙিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলেজ সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২১ এবং ২২ তারিখ কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান করা হবে। নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে একাধিক আলোচনাও করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক কর্মী বলেন, ‘যাদের ছবি টাঙ্গানো হয়েছে, তারা আসে, মুখ দেখায় আর চলে যায়। বছরের বাকি দিনগুলো তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না।’
এই ঘটনায় সরব হয়েছে বামেরা। লালবাগ কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা এসএফআই নেতা নুর হোসেন বলেন, ‘এগুলো তৃণমূলের অপসংস্কৃতি। কলেজ চত্বরে এধরনের অপসংস্কৃতির আমরা নিন্দা জানাই। কলেজ প্রতিষ্ঠাতা থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ, কলেজে যাদের অবদান আছে তাদের ছবি থাকুক। কিন্তু এধরনের অপসংস্কৃতি কলেজ চত্বর থেকে মুছে যাক। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এবিষয়ে আমরা অভিযোগ জানাবো।’
ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ শহর কংগ্রেসের সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, ‘তৃণমূল রাজনীতির আখড়া বানিয়ে দিয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসগুলিকে। আমার অনুরোধ থাকবে মমতা-অভিষেকের ছবি যেমনভাবে টাঙিয়েছে, ঠিক তেমনভাবে যেন অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবিও তারা টাঙিয়ে রাখে।’
ছবি টাঙানোর ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভীস্মদেব কর্মকার বলেন, ‘লালবাগ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিয়ন আছে। স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর কারো না কারো ভালোবাসা থাকেই, তাই যাকে ভালো লাগে সেসব নেতৃত্বের ছবি টাঙিয়েছে সেখানকার ইউনিয়নের সদস্যরা। কিন্তু কার ছবি টাঙিয়েছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।’
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা অর্ণব রায় বলেন, ‘ছাত্র সমাজ বলতে বুঝি যারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ, নজরুল ইসলামের মত গুণীজনদের ছবি সামনে রেখে নিজেদের উদ্ভুদ্ধ করে থাকে। কিন্তু এরা কোন ধরনের ছাত্র সমাজ বুঝতে পারছি না।’
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে লালবাগ কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুপম মুখার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct