জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন প্রদান না করার অভিযোগে শুরু হওয়া আন্দোলন পৌরসভার কার্যক্রমকে সম্পূর্ণরূপে স্থবির করে দিয়েছে। অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তাদের দু-তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে, যা নিয়ে তারা বারবার পৌর প্রধানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো সমাধান না পাওয়ায় তারা কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছেন।
বিক্ষোভকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা জরুরি পরিষেবা যেমন জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা চালু রেখেছেন।
তবে অন্যান্য সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি বকেয়া বেতন দ্রুত মেটানো না হয়, তাহলে আগামী দিনে তারা জরুরি পরিষেবাও বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। এই পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। পৌরসভার কাজ যেমন জন্ম নিবন্ধন, জমির মিউটেশন, ট্যাক্স প্রদান, এবং অন্যান্য পরিষেবা নিতে আসা মানুষকে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকেই নিজেদের জরুরি কাজ করতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন। পৌরসভার প্রধান অমিত রায় জানান, পৌরসভার আয়ের মূল উৎস হলো সাধারণ মানুষের ট্যাক্স ও অন্যান্য ফি জমা দেওয়া। তিনি বলেন, “পৌরসভার এই আয় থেকেই কর্মীদের বেতন প্রদান করা হয়। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে পৌরসভায় মানুষ আসছেন না, যার ফলে আয় ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কর্মীদের বেতন দেওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে।”
অমিত রায় আরও বলেন, কর্মীরা যদি শীঘ্রই আন্দোলন বন্ধ না করেন এবং পরিষেবা চালু না করেন, তবে ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক সমস্যার সমাধান করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
পৌরসভার এই অচলাবস্থা একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে, তেমনি কর্মীদের আর্থিক সমস্যাকেও বাড়িয়ে তুলছে। উভয়পক্ষের এই অচলাবস্থা নিরসনে একটি সমঝোতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পৌরসভার আর্থিক সংকট ও কর্মীদের দাবিদাওয়া মেটানোর জন্য প্রশাসন এবং কর্মীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান বের করা প্রয়োজন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct