আপনজন ডেস্ক: সম্ভল মসজিদের পর উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন জেলার আরও একটি মসজিদ এখন আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে৷ একটি হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে, মুসলিম শাসকরা একটি শিব মন্দির ভেঙে মসজিদটি নির্মাণ করেছে এবং এর মালিকানা চেয়ে জেলা আদালতে আবেদন করেছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জজ অমিত কুমারের।
জামা মসজিদ ইন্তেজামিয়া কমিটির আইনজীবী আনোয়ার আলম মসজিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং একটি শিব মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মিত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা বাতিল করার চেষ্টা করেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। হিন্দু মহাসভার নেতা মুকেশ প্যাটেল দু’বছর আগে জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই যুক্তি দিয়ে যে নীলকণ্ঠ মন্দির ভেঙে জামা মসজিদ তৈরি হয়েছিল। রাজ্য সরকারের আইনজীবী ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
প্যাটেল দাবি করেছিলেন যে আজ যেখানে জামা মসজিদ দাঁড়িয়ে আছে সেখানে একটি নীলকণ্ঠ মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল বলে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। তাঁর দাবি, মূর্তি রয়েছে, পুরনো স্তম্ভ রয়েছে।
প্যাটেল বলেছিলেন যে মুসলিম শাসকরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলেছিল এবং ‘শিবলিঙ্গ’ ছুঁড়ে ফেলেছিল। কাছেই অন্য একটি মন্দিরে শিবলিঙ্গ বসিয়েছিলেন এক সাধু। হিন্দু বাদীদের দাবি, দিল্লি সালতানাতের প্রথম বাদশাহকুতুব-উদ-দীন-আইবেকের আমলে নীলকণ্ঠ মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল, যিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে দিল্লিতে কুতুব মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
মসজিদ কমিটির আইনজীবী অবশ্য বলেছেন যে মসজিদটি ৮৫০ বছরের পুরানো এবং সেখানে কোনও মন্দিরের অস্তিত্ব কখনও ছিল না। মুসলমানরা দাবি করেন যে গোলাম (দাস) রাজবংশের সুলতান শামস-উদ-দীন-আলতমাশ ১২২৩ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct