আপনজন ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দেওয়ার আলোচনা স্থগিত করায় নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে জর্জিয়ার জনগণ। দেশটির রাজধানী তিবিলিসিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এতে অন্তত ৪৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সরকার ইইউর সঙ্গে চার বছরের জন্য আলোচনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে। প্রতিবাদ জানাতে ইইউপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের মুখোমুখি হচ্ছে। রোববার জর্জিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৭ জন বিক্ষোভকারী, ১৬ পুলিশ এবং একজন মিডিয়া কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার অন্তত ৮টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করেছেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি ছোড়েন। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পাশাপাশি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। সোমবার সকাল পর্যন্তও বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়েছে। দেশটিতে কয়েক দিন ধরে রাস্তায় নামছে হাজার হাজার মানুষ। তারা ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী, পশ্চিমবিরোধী ও রুশপন্থি নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দেশটির বর্তমান সরকারের ওপর রাশিয়ার প্রভাব রয়েছে। তাই নতুন নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছেন। তবে জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে নতুন নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলিও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যেকোন আইন লঙ্ঘন আইনের পূর্ণ কঠোরতার সঙ্গে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জর্জিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি জয়ী হলেও বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct