মোস্তাফিজুর রহমান, জামশেদপুর, আপনজন: মহামেডান-১ (ইরশাদ), জামশেদপুর-৩(মহম্মদ সানান,সিভেরিও,ইজে)। যতদিন যাচ্ছে হারের চোরাবালির অতল গহ্বরে যেন তলিয়ে যাচ্ছে মহামেডান। উত্তরনের কোনো রাস্তাই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না আন্দ্রে চের্নিশভ।ফলে তাঁর ভবিষ্যতের পাশাপাশি, মহামেডানের ভবিষ্যতও অন্ধকারের দিকে এগোচ্ছে। আজকের হারের পরে সুপার সিক্সে থাকার লড়াইয়ে একপ্রকার ছিটকে গেল মহামেডান। বলা বাহুল্য,এই খেলা নিয়ে মহামেডান কর্তারাও সুপার সিক্সের আশা করে বলে মনে হয় না।
আসলে এরা হারার আগেই হেরে বসে থাকছে প্রতি ম্যাচে। কালও তার অন্যথা হয়নি। যেখানে দলের কোচ হারের ময়নাতদন্ত না করে অজুহাত দিতে ব্যস্ত, সেখানে দলের ফলাফল এরচেয়ে ভালো আশা করা অন্যায়।
তবুও এদিন প্রথমার্ধে জামশেদপুরকে আটকে রেখেছিল মহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটেই এগোয় টাটা নগরী।মহম্মদ সানানের বিশ্বমানের গোল আটকানোর ক্ষমতা ছিল না ভাস্করের মতো গোলকিপারের।তবে গোলের আগে ওগিয়েরকে ফাউল করা হয়েছিল কিনা, সেটা নিয়ে ধন্দ থাকবে।
তবে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে কোনো ধন্দ ছাড়াই ভাস্করকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়।একেবারে শিক্ষানবিশী বল ফস্কে মহামেডানের সামান্যতম লড়াইয়ের মানসিকতাও শুষে নেন তিনি।
ফলে ৭৯ মিনিটে আবার জামশেদপুরকে লিড এনে দেন তাদের বিদেশি ফুটবলার ইজে।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ইরশাদ ব্যবধান কমান।সুযোগ এসেছিল অতিরিক্ত সময়েও।পেনাল্টি কলকাতা জাযান্টরা।তবে গোলকিপারের হাতে মারেন ফ্রাঙ্কা।কেন যে ফ্রাঙ্কার মতো গোল কানা খেলোয়াড় পেনাল্টি নিতে গেল,কে জানে!
কোচের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে,হয়তো চাকরি নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠবে। হয়তো মহামেডানও ত এবার ইস্টবেঙ্গলের পথে হাঁটবে!
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct