সজিবুল ইসলাম ,ডোমকল, আপনজন: সরকারি নিয়ম অনুসারে একজন কর্মহীন মানুষ যদি ৬০ বছর পেরিয়ে যায় তাহলে সেই মহিলা বা পুরুষ সরকারি ভাবে বার্ধক্য ভাতার জন্য সরকারি দপ্তরে আবেদন জানাতে পারে আর আবেদনের ভিত্তিতে আবেদন কারির আবেদন পত্র চেকিং করে তার বার্ধক্য ভাতার তালিকায় নাম তোলা হয়,তালিকায় নাম তোলার পর সরকারি ভাবে মাসিক ভাতা হিসেবে এক হাজার টাকা পাই একাউন্টে।কিন্তু সরকারি সাহায্যর জন্য একাধিকবার সরকারি দপ্তরে আবেদন জানানোর পরেও আজও মেলেনি বার্ধক্য ভাতার টাকা,যেখানে ৬০ বছরেই ভাতার টাকা পাওয়ার কথা সেখানে ৮০ বছরে পৌঁছিয়ে গেলেও মিলছে না ভাতার টাকা।সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ব্লকের সাদিখার দেয়ার অঞ্চলের জোতছিদাম গ্রামের ৭৯ বছরের শ্রীমন বিবি নামের এক মহিলা।
তার দাবি একাধিক বার দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে কাগজ জমা করেছি কিন্তু আজও ভাতা পাইনি।তিনি আরো বলেন আমরা স্বামী স্ত্রী অসুস্থ শরীর পাশাপশি কোনো কাজ কর্ম তেমন ভাবে করতে পারিনা।ছেলেরা সব বিয়ে করে আলাদা সংসার করেছে একটা ছোট টিনের ঘরে কোনো রকম ভাবে জীবন কাটায়,এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি। সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ যে মৃত্যুর আগে যদি ভাতা পেতাম তাহলে দুই বেলা দু মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারতাম সেটা আর হয় তো আমাদের কপালে নেই।
ঘটনায় সাদিখার দেয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহাবুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে প্রধান জানান অনেক সময় আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পরে আধার ভোটার সহ অন্য পরিচয় পত্র গুলোর সঙ্গে মিল না থাকায় বঞ্চিত হয়ে উপভক্তরা তবে বিষয়টা আমি জানতে পারলাম আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যাতে করে বার্ধক্য ভাতা পান তার সুব্যবস্থ করবো বিডিও সাহেব কে বলে।
জলঙ্গীর যুগ্ম বিডিও রাকিবুল হক জানান আমাদের এন্ট্রি করার পরে জেলা ফাইনাল করেন,তিনি আরো বলেন ব্লকে আসলে যাতে ভাতার টাকা পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
তবে এখন দেখার আদতে কি পাই বার্ধক্য ভাতার টাকা।শুধু সাদি খার দেয়ার অঞ্চল নয় জলঙ্গী ব্লকের একাধিক গ্রামের মানুষের বয়স হয়ে গেলেও মেলেনি বার্ধক্য ভাতার টাকা,অনেকে আবেদন করার পরে মারাও গিয়েছেন।
যেখানে রাজ্য সরকার বার বার সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু এই কাজ কিন্তু গ্রামের মানুষের কাছে এসে পৌঁছাচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct