সুভাষ চন্দ্র দাশ , ক্যানিং, আপনজন: প্রথম শ্রেণীর এক খুদে ছাত্রকে দরজা বন্ধ করে শ্রেণীকক্ষের মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মারধর করার পর স্কুল থেকে পালিয়ে যায় ওই শিক্ষিকা। বৃহষ্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের সেন্ট গ্যাব্রিয়েল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।ঘটনার কথা জানতে পেরে শিশুর পরিবারের লোকজন শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই শিশু তার নিজের বাড়িতেই রয়েছে। তার দেহের অধিকাংশ জায়গা ফুলেও গিয়েছে।এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দা সহ অভিভাবকরা।শু ক্রবারও ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য আর একপ্রস্থ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ক্যানিংয়ের গোয়ালা পাড়ার বাসিন্দা দম্পতির বছর সাত বয়সের ছেলে ক্যানিংয়ের সেন্ট গ্যাব্রিয়েল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। বৃহষ্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল। খেলার সময় অপর এক ছাত্রের পায়ে বেঞ্চ ফেলে দেয়।ওই ছাত্র স্কুলের শিক্ষিকা সুস্মিতা মিদ্দের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযোগ এরপর ক্ষুঁদে ওই ছাত্রকে ডেকে শ্রেণী কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় শিক্ষিকা।মেঝেতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে দুটি লাঠি ভেঙে ফেলেন।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় স্কুল শিক্ষিকা।আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত ছাত্রের মা জানিয়েছেন, সুস্মিতা ম্যাডাম প্রতিনিয়ত শিশুদের উপর অত্যাচার করে। বিগত দিনেও এমন কর্মকান্ড একাধিকবার ঘটিয়েছেন।এছাড়াও তিনি হুমকি দিয়ে বলেন যাকে খুশি জানাও।কিচ্ছুটি করতে পারবে না। আমরা ওই শিক্ষিকার শাস্তি চাই।
অপর এক ছাত্রের মা রেশমা সেখ জানিয়েছে,সুস্মিতা ম্যাডাম প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রীদের কে বেধড়ক মারধর করে।ছোটরা যদি কোন অন্যায় করে তাদের অভিভাবক কে জানায় না।বৃহষ্পতিবার প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্র কে বেধড়ক মারধর করে ফুলিয়ে দিয়েছে।শিশুদের উপর ম্যাডামের এমন অমানবিক অত্যাচার কোন ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ম্যাডামের শাস্তি চাই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct