সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: রেল ও রাজ্য টানপোড়েনে আটকে আন্ডারপাস তৈরীর কাগ্রামবাসীরা । রেল ও রাজ্যের টানাপোড়েনে আটকে রয়েছে আন্ডারপাস তৈরীর কাজ। রেলের ডি আর এম ও স্থানীয় মহকুমা শাসকের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে দেখা করার পরেও আন্ডারপাস তৈরী নিয়ে জট না কাটায় নিজেদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার হুশিয়ারি দিলেন রেল পারের ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ।
দক্ষিণ পূর্ব রেলপথের খড়্গপুর আদ্রা শাখার বিষ্ণুপুর স্টেশনের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের লেভেল ক্রসিং তুলে দিয়ে সম্প্রতি উড়ালপুল চালু হয়। এরফলেই চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন রেল পাড়ের দ্বাদশ বাড়ি, কাঁটাবাড়ি, বনকাটি, ঝরিয়া, সেনডাঙ্গা সহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ। স্কুল কলেজের শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সমস্ত বিষয়েই প্রতিদিন গ্রামগুলির মানুষকে রেল লাইন পারাপার করে যেতে হয় রেল লাইনের অপর পাড়ে থাকা বিষ্ণুপুর শহরে। লেভেল ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন বিষ্ণুপুর শহরে যাতায়াত করতে গ্রামবাসীদের একমাত্র ভরসা অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ঘুরপথের উড়ালপুলই। ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অনেকেই দ্রুত শহরে পৌঁছাতে বেছে নিচ্ছেন রেল লাইনের উপর দিয়ে ঝুঁকির রাস্তাকেই। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বিষ্ণুপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকায় আন্ডারপাস তৈরীর দাবী তুলেছেন ওই ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মানুষ। বুধবার ওই ১০ -১২ টি গ্রামের পড়ুয়া ও সধারণ মানুষ বিষ্ণুপুর স্টেশনে বসে বিক্ষোভও দেখান। সেই সময় রেলের তরফে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়। গতকাল বিষয়টি নিয়ে রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডি আর এম এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীরা। রেলের তরফে দাবি করা হয় ওই এলাকায় আন্ডারপাস তৈরির ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। রাজ্য অনুমতি না দেওয়াতেই আন্ডারপাস তৈরীর কাজ শুরু করা যায়নি। এরপরই রাজ্য সরকারের অনুমতির জন্য আন্দোলনকারীরা আজ দেখা করেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের সঙ্গে। কিন্তু সেখান থেকেও তেমন কোনো আশ্বাস না মেলায় হতাশ আন্দোলনকারীরা নিজেদের আন্দোলন অব্যাহত রাখা এবং আরো তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct