নিজস্ব প্রতিবেদক , গাজোল, আপনজন: নামেই মাত্র গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতাল স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারেই নেই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের সিজার হয় না। তাদেরকে ২০-২৫ থেকে কিলোমিটার দূরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয়। নেই কোন রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা। রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে বেসরকারি ল্যাব থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। হাসপাতালের ক্যাম্পাসে চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আবাসন গুলি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে আবাসন গুলি ভেঙে পড়ে যেতে পারে। যার জন্য আবাসনে চরম ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে চিকিৎসক ,নার্স ,স্বাস্থ্য কর্মীদের। গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নতি হলেও, সেভাবে বাড়েনি নিরাপত্তা। পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসিটিভি লাগানো হয়নি। নেই হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর। হাসপাতালের ভেতরের রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থার হালও বেহাল।এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন হাসপাতাল সুপার ডাঃ অঞ্জন রায়। সমস্যার সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গর্ভবতী মহিলাদের এখানে সিজার হয় না ।রক্ত পরীক্ষা হয় না। গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ অঞ্জন রায় জানান ,একাধিক অসুবিধা নিয়ে আমাকে হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। জনা কয়েক পুলিশ কর্মী ডিউটিতে থাকছেন। জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি হাসপাতালে একটি আউট পোস্ট করার জন্য। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের নতুন এবং পুরনো বিল্ডিং মিলিয়ে কমপক্ষে ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরার দরকার। সেখানে রয়েছে মাত্র চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা। আমরা বরবার দাবি জানিয়েছি গোটা হাসপাতাল চত্বর সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা হোক। কিন্তু সেই কাজ হয়নি। সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমি দাবি জানিয়েছি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাতে খুব তাড়াতাড়ি সিজার চালু করা যায়। সব থেকে খারাপ অবস্থা চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনের। জীবন হাতে নিয়ে তাদের আবাসনে থাকতে হচ্ছে।” যাদের হাতে অন্যদের জীবনের নিরাপত্তার ভার থাকে, তাদেরই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নেই”। অবিলম্বে এই সমস্ত আবাসন ভেঙে নতুন করে আবাসন গড়ে তুলতে হবে।
গাজোল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন জানান কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় করোনার সময় ১০০ বেডের কোভিদ হসপিটালটি তৈরি হয়েছিল কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেটা নাম পরিবর্তন করে গাজোল স্টেট জেনারেল হসপিটাল করেছেন কিন্তু স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নাম দিলেও গাজোল এলাকার মানুষ কোন রকম স্বাস্থ্যপরিসেবা পাচ্ছে না। কোনরকম টেস্ট হয় না প্রসূতি মায়েদের সিজার হয় না l শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রাজ্যে ভেঙে পড়েছে l রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে তৈরি করা হসপিটাল রাজ্য সরকার স্টেট জেনারেল হসপিটাল বলে নামকরণ দিচ্ছেন l আমরা চাই হসপিটালে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা যাদের ঠিকঠাক পায় সেই দাবি আমি রাখছি l বিধায়কের বক্তব্যে পাল্টে দিয়েছেন তৃণমূল ও l গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন জানান আমরা ধন্যবাদ জানাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে তিনি গাজোলে স্টেট জেনারেল হসপিটাল তৈরি করেছেন l তবে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যে সমস্যার কথা কথা বলা হচ্ছে সেটা আমরা জানি। আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরকে এ বিষয়ে জানিয়েছি সে বিষয়ে আমাদের সরকার বিষয়টি দেখছে l নিরাপত্তা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সবকিছু সব বাড়ানো হচ্ছে l তবে আর বিজেপি যে কথাটা বলছে আমি বলব (পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায় ) l আমাদের সরকারি এই গাজলের স্টেট জেনারেল হসপিটাল তৈরি করেছে। বিজেপির কথাতে আমাদের কোন মাথা ঘামানোর জায়গা নেই। এখন দেখার স্বাস্থ্য দপ্তর বা প্রশাসন কত দিনে এই দাবিগুলির সুরাহা করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct