আপনজন ডেস্ক: রাজস্থানের আজমিরের একটি আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে আজমিরে সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় একটি শিব মন্দির রয়েছে। সেপ্টেম্বরে দায়ের করা পিটিশনে আদালতের কাছে ফের ওই স্থানে পূজার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী যোগেশ সিরোজা বলেন, সিভিল জজ মনমোহন চান্ডেল আজমির দরগাহ কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) অফিসে তাদের জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাজস্থানের ভজন লাল শর্মা সরকার রাজস্থান পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজমিরের হোটেল খাদিমের নাম পরিবর্তন করে অজয়মেরু করার এক সপ্তাহ পরে এই ঘটনা সামনে এল। আজমির শরিফের মামলার আবেদনকারী হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা বলেন, আমাদের দাবি ছিল আজমির দরগাহকে সঙ্কটমোচন মহাদেব মন্দির হিসেবে ঘোষণা করা হোক। দরগাহর যদি কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন থাকে, তাহলে তা বাতিল করা উচিত। এর সমীক্ষা এএসআইয়ের মাধ্যমে হওয়া উচিত এবং হিন্দুদের সেখানে উপাসনার অধিকার দেওয়া উচিত। পিটিশনে ১৯১১ সালে লেখা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হরবিলাস শারদার একটি বই উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বুলন্দ দরওয়াজা সহ আজমির দরগার চারপাশে হিন্দু খোদাই এবং মূর্তি রয়েছে। আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে এই স্থানের গর্ভগৃহের মধ্যে একটি জৈন মন্দির রয়েছে। দরগা কমিটি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আঞ্জুমান সৈয়দ জাদগানের সেক্রেটারি সৈয়দ সারওয়ার চিশতি বলেন, দরগাহটি বৈচিত্র্য এবং বহুত্ববাদের মধ্যে ঐক্যকে প্রচার করে, দরগায় আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ অনুসারী রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতির পরিপন্থী। আদালত আজ তিনটি পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে। আমরা দেখছি কী করা যায়।এই একই ভাবে মথুরা কাশীতে বহু পুরনো মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct