আপনজন ডেস্ক: যখন একদিকে সারাদেশে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব ভোক্কালিগা মহাসমস্থান মঠের সাধক কুমার চন্দ্রশেখরণ স্বামীজি মঙ্গলবার বলেছেন, এমন আইন আনা উচিত যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটদানের ক্ষমতা থাকবে না। তিনি বলেন আগে ওয়াকফ বোর্ড না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি মুসলিম দের ভোট দানের ক্ষমতা আইন করে কেড়ে নেওয়ারও দাবি করেন এই দিনের সম্মেলনে। ভারতীয় কিষাণ সংঘের প্রতিবাদ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কৃষকরা হলেন ‘অন্নদাতা’, তাঁরাই খাদ্য উৎপাদন করেন। সুতরাং তাদের সংরক্ষণ ও লালন-পালন করতে হবে এবং কেউ যাতে তাদের জমি ও সম্পদ কেড়ে নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, ‘সবার চিন্তা করা উচিত এবং দেখা উচিত যে ওয়াকফ বোর্ড নিজে সেখানে নেই। যেমন রাজনীতিবিদরা ভোটের স্বার্থে কাজ করেন। এমন আইন আনা উচিত, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটের ক্ষমতা থাকবে না। এটা অবশ্যই করা উচিত। পাকিস্তানে ওরা করেছে, বাকিদের ওখানে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই।একইভাবে ভারতেও যদি আমরা নিশ্চিত করি যে তাদের (মুসলিমদের) ভোটাধিকার নেই, তাহলে তারা নিজেদের মধ্যেই থাকবে এবং সবাই শান্তিতে থাকতে পারবে। তিনি আরো দাবি করেন কর্ণাটকের কিছু অংশের কৃষক ও অন্যান্যদের একাংশের অভিযোগের পরে যে তাদের জমিগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, সংগঠন এবং বিরোধী বিজেপি আই বিষয়ে প্রতিবাদ করেছে।কৃষকদের জন্য লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে (ওয়াকফ) সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে, সরকারের পতন হলেও কোনও ইস্যু নেই।তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজয়ের জন্য আমাদের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া উচিত, কৃষকদের জমি কৃষকদের সাথে থাকা উচিত। প্রাথমিকভাবে বিজয়পুরা জেলার কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি জায়গা থেকে এবং মঠের মতো কিছু সংগঠন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকেও একই অভিযোগ উঠে এসেছে।এই বিতর্ক ক্রমবর্ধমান হওয়ার সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সম্প্রতি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কৃষকদের জারি করা সমস্ত নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং যথাযথ নোটিশ ছাড়াই জমির রেকর্ডে যে কোনও অননুমোদিত সংশোধনও বাতিল করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct