মনিরুজ্জামান, হাড়োয়া, আপনজন: হাড়োয়া বিধানসভা এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সেখ রবিউল ইসলাম ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটের বিশাল ব্যবধানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের পিয়ারুল ইসলামকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। সেখ রবিউল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ১৫৭০৭২ টি। শতাংশের হিসাবে ৭৬.৬৩ শতাংশ। বিজেপিকে তৃতীয় করে দিয়ে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের মতো আইএসএফ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। শুধু তািই নয়, বিজেপি আইএসএফ প্রার্থীর প্রায় অর্ধেক ভোট পেতে সক্ষম হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম যেখানে পেয়েছে ২৫৬৮৪টি ভোট সেখানে বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস পেয়েছেন মাত্র ১৩৫৭০টি ভোট। ফলে, সন্দেশখালি নিয়ে এত হইচইয়ের মধ্যেও হাড়োয়ার মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেনি। একই ভাবে হাড়োয়া মুসলিম অধ্যূষিত হলেও কংগ্রেস প্রার্থী হাবিব রেজা চৌধুরি ৩৭৬৫টি ভোট পেয়েছেন। ওয়েলফেয়ার পার্টির প্রার্থী অঅবদুল নয়িম মল্লিক পেয়েছেন ৭৫৯। সে তুলনায় নির্দল প্রার্থী সেখ আজিমউদ্দিন ওয়েলফেয়ার পার্টির থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬২২টি ভোট। এমনকি ওয়েলফেয়ার পার্টির থেকে বেশি ভোট পড়েছে নোটায়। নোটায় ভোটের সংখ্যা ১০২৭।
এদিকে আইএসফের তরফে েএক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএসএফ-এর ভোট কমেছে ২.৫ শতাংশ আর বিজেপির ভোট কমেছে ৮.৩ শতাংশ। বামফ্রন্টের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও আইএসএফ-এর ভোটের হার লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কমে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করি আমাদের জনসংযোগ আরো বাড়াতে হবে ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের দুর্বলতা সংশোধন করে শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আইএসএফ অভিযোগ করেছে, মেরুকরণের রাজনীতিকে রপ্ত করে, বিজেপি’র জুজু দেখিয়ে একটা বিরাট সংখ্যক ভোটারকেও প্রভাবিত করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাড়োয়ার মানুষকে আইএসএফ বিকল্প রাজনীতির পথে নিয়ে আসতে চায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সহ উন্নয়নমূলক কাজকর্ম যাতে সমগ্র হাড়োয়াবাসীর উপকারে আসে, সেই বিষয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছে আইএসএফ, আগামীদিনেও দল এটা করে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct