নিজস্ব প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ, আপনজন: উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলির সমাধান দাবিতে সামাজিক ন্যায় ও স্বাধিকার মঞ্চ এক স্মারকলিপি জেলাশাসকের কাছে দাখিল করেছে। কৃষকেরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো শস্য উৎপাদন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, কালোবাজারি, নিম্নমানের বীজের বিক্রি এবং হিমঘরের অভাব। স্মারকলিপিতে উত্থাপিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল: কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে শস্য উৎপাদন সামগ্রীর দাম লাগামছাড়া। বিশেষ করে রাসায়নিক সার, বীজ এবং কীটনাশকের ক্ষেত্রে এমআরপি ও বাজারমূল্যের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরিয়ার এমআরপি ২৬৬ টাকা হলেও এটি ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ডিএপি এর এমআরপি ১৩৫০ টাকা হলেও ২০০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অনেক দোকানদার শস্য উৎপাদন সামগ্রী বিক্রি করার সময় সঠিক ও সীলযুক্ত পাকা ক্যাশ মেমো প্রদান করতে অস্বীকার করেন। এর ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণের দাবিতে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
দোকানগুলিতে এমআরপি এবং স্টকের তথ্য প্রদর্শনের জন্য যথাযথ বোর্ড রাখার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না। এতে কৃষকদের সঠিক তথ্য জানার সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, অনেক দোকানদার নিম্নমানের জীবাণুযুক্ত বীজ বিক্রি করছেন। এমনকি, সার্টিফায়েড বীজের সঙ্গে নিম্নমানের বীজ মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যা কৃষকদের ফসলহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কৃষি পণ্যের সঠিক সংরক্ষণের জন্য ব্লক পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে হিমঘর স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। হিমঘরের অভাবে কৃষকেরা উৎপাদিত আলু ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা পরে বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের কালোবাজারি রোধ এবং বাজারদর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct