সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: প্রশাসনের নাকের ডগায় গন্ধেশ্বরী নদী গর্ভের মধ্যেই চলছিল বে আইনি বিশাল নির্মাণের প্রস্তুতি, ভিত খোঁড়া নজরে আসতেই চাঞ্চল্য শহর জুড়ে ।
গন্ধেশ্বরী নদী গর্ভে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে চলছিল বিশাল নির্মাণের প্রস্তুতি। নদী গর্ভে খোঁড়া হয়েছিল ভিত। নামানো হয়েছিল ইট বালি সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার হইচই করতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নির্মাণ বন্ধ করল পুলিশ। বাঁকুড়া শহরের দুপাশ দিয়ে বয়ে গেছে গন্ধেশ্বরী ও দারকেশ্বর নদী। এই দুই নদীই শহরের মানুষের প্রাণ। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে সেই গন্ধেশ্বরী নদীর গর্ভেই গড়ে উঠছে একের পর এক বে আইনি নির্মাণ। কার্যত প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক নির্মাণ গড়ে উঠলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে দেখা যায় নির্বাক দর্শকের ভূমিকায়। আর সেই সুযোগে বাঁকুড়ার সতীঘাট সংলগ্ন এলাকায় এবার নদীগর্ভে বিশাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল সমীর ঘোষাল নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। নদী গর্ভের বিশাল এলাকা জুড়ে খনন করা হয়েছিল ভিত। নির্মাণের জন্য নামানো হয়েছিল ইট, বালি, সিমেন্ট সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী। নির্মাণের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হতেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরাই খবর দেন বাঁকুড়া পুরসভার স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিলীপ আগরওয়ালের। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি দেখেই খবর দেন পুলিশ ও প্রশাসনকে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। নির্মাণের কাজে যুক্ত অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অবশ্য এর পিছনে অবশ্য হাস্যকর যুক্তি দেখিয়েছেন। তাঁর দাবী অনেকেই নদীর জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছেন। তাই তিনিও একই পথে হেঁটেছেন। স্থানীয়দের আশঙ্কা প্রশাসনের নাকের ডগায় নদী দখল করে যেভাবে একের পর এক নির্মান গড়ে উঠছে তাতে আগামীদিনে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়ে বন্যার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি নদীর গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় গন্ধেশ্বরী নদীর অপমৃত্যু ঘটতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct