সন্ন্যাসী কাউরী, মেদিনীপুর, আপনজন: স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাতিল, বর্ধিত বিদ্যুৎ মাসুল ফিক্সড চার্জ ও নূন্যতম চার্জ প্রত্যাহার সহ বিভিন্ন দাবিতে মেদিনীপুরে বিদ্যুৎ জোনাল দপ্তরের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যুৎ গ্ৰাহকরা। মিছিল, পথ অবরোধ, প্রতিলিপিতে অগ্নিসংযোগ, ধস্তাধস্তিতে দিনভর উত্তাল মেদিনীপুর শহর। মেদিনীপুর শহর দেখল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অন্য মেজাজ।
বৃহস্পতিবার সারা বাংলা বিদ্যুৎগ্রাহক সমিতি এবং অল বেঙ্গল ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন বিদ্যুৎ গ্রাহক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জোনাল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃত্বরা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া জেলা থেকে কয়েকশো গ্রাহক এদিন মেদিনীপুর শহরে জমায়েত হন। মেদিনীপুর স্টেশন থেকে মিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে এসে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।
ক্ষুদিরাম মোড়ে হয় প্রতীকী পথ অবরোধ । পোড়ানো হয় স্মার্ট মিটার, ফিক্সড চার্জ ও মিনিমাম চার্জ এর প্রতিলিপি। সেখান থেকে মিছিল ফকির কুয়াঁস্থিত জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরের অভিমুখে রওনা হয়। জোনাল ম্যানেজারের গেট বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হলে গ্রাহকরা গেটে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। গেটের সামনে শুরু হয়ে যায় ধাস্তাধস্তি। জোনাল ম্যানেজারের দপ্তরের সম্মুখস্থ রাস্তা এক ঘন্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। চলে বিক্ষোভ সভা।
এদিন এক প্রতিনিধি দল জোনাল ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দিতে যান। আগে থেকে জানানো সত্বেও জোনাল ম্যানেজার ঘর থেকে বেরিয়ে যান। খবরটা বাইরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। জোনাল দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকেরা স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং দাবি গুলি মেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন সুব্রত বিশ্বাস, মধুসূদন মান্না, অশোক ঘোষ, শালবনী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ মোদক, দীপক পাত্র প্রমূখ। বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি তে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মধুসূদন মান্না, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক জয় মোহন পাল, সম্পাদক শংকর মালাকার, পুরুলিয়ার সম্পাদক গৌতম হাতি, বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক স্বপন নাগ, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ চন্দ্র নায়ক সহ অন্যান্যরা।
সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসাতে গেলে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।এই ডাকাতির যন্ত্র বসাতে দেওয়া যাবে না।
তিনি গ্ৰাহকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান ট্রান্সফরমার ভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলুন। বেআইনি অযৌক্তিক বিপুল মিনিমাম চার্জ- অনাদায়ে লাইন কাটতে গেলে প্রতিরোধ করে ফেরত পাঠান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct