নিজস্ব প্রতিবেদক, রায়দিঘি, আপনজন: বিকলাঙ্গ দম্পতির আবাসন যোজনার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। দিনের পর দিন দুর্নীতির অভিযোগ রায়দিঘী বিধানসভার নরেন্দ্রপুর এলাকায়। তথ্য জানার আইনে জানতে পারা গেছে, ভাঙ্গা বাড়িতে থাকা এক প্রতিবন্ধী দম্পতির ছেলে বিপ্লব বৈদ্যের আবাস যোজনার টাকা তুলে নেয় প্রাক্তন প্রধানের আরজিনা গাজীর ঘনিষ্ঠ অনুগামী সিরাজুল মোল্লা। এক গরিব ব্যক্তি মধুসূদন মন্ডলের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন প্রধান আরজিনা গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর গাজীর বিরুদ্ধে।
লোকগীতি মধ্যে আমার আবাসন যোজনার ঘর পাচ্ছে। অনেকেরই তদন্ত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের মাধ্যমে।
আশ্চর্যের বিষয় পরিযায়ী শ্রমিক দিলীপ বৈদ্য নামে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার ঘরের টাকা এলেও সেই টাকা অন্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। বর্তমানে শ্রমিকের ছেলে বিপ্লব বৈদ্য কাজ করতে বাইরে থাকেন , বাবা বিকলাঙ্গ। মা বৃদ্ধা।দুজনেই ভাঙা বাড়িতে আতঙ্কের সঙ্গে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন।
হুইল চেয়ারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বৃদ্ধ দম্পতি। একটাই দাবি তাদের ন্যায্য টাকা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। এদিকে, ফালাকাটায় বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল একটি বানরের। বুধবার ফালাকাটা ব্লকের বেংকান্দি এলাকায় ১৭ নং জাতীয় সড়কে একটি বানরকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া একটি বাইক। ঘটনাস্থলে মৃত্যু ঘটে ওই বানরটির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়ই খাবারের লোভে বানরের দল রাস্তায় চলে আসে। এর ফলে হামেশাই দ্রুতগামী ছোট গাড়িগুলোর ধাক্কায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বানরের দল। এদিকে গাড়ি ও বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি করছেন এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে দুষ্কৃতির ছুরির দ্বারা আঘাতে আহত দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের উত্তর-জিতপুর নর্থ-পয়েন্ট এলাকার । জানা যায়, বাড়ির পাশে দুই প্রতিবেশি যুবক বন্ধু দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এমন সময় স্থানীয় দুষ্কৃতী রমেশ সাহানি সেখানে উপস্থিত হলে বচসা বাধে। তখনই অন্ধকার নির্জন এলাকার সুবিধা নিয়ে পকেট থেকে চাকু বের করে চালাতে শুরু করে দুই যুবকের উপর। দুষ্কৃতির আক্রমণে রাজেশ সাহানি (২৮) নামে যুবকের বা-কানের উপরে ছুরিকাহত হয়। তিনটি সেলাই করা হয় বলে জানা যায়। অপর যুবক কবির সাহানি (শোহন) -কে ঘাতক মাটিতে ফেলে পেটের উপর ছুরির আঘাতে ধরাশায়ী করে বলে অভিযোগ। টের পেয়ে যুবকদের পরিবারসহ প্রতিবেশিরা বেড়িয়ে এসে ঘাতক দুষ্কৃতিকে কোনোক্রমে আটকে তার হাত থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তারপর স্থানীয়রা দুষ্কৃতী রমেশকে রশি দিয়ে ইলেকট্রিক পোলের সাথে বেঁধে রেখে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পেটে ছুরিকাহত হওয়ায় কবির সাহানি (শোহন), আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসারত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct