আপনজন ডেস্ক: গাজা উপত্যকাকে হাজার হাজার শিশুর কবরস্থান বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা তথ্য দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি ৩০ মিনিটে একজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো হাজার হাজার শিশু নিখোঁজ, যাদের অধিকাংশই মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেঁচে থাকা শিশুদের বেশিরভাগ যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব সহ্য করে যাচ্ছে। হাজার হাজার শিশু আহত। তাদের জীবন ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় কাটছে। জন্ম থেকেই তাদের অস্তিত্বের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করেছে ইসরায়েলি হামলা। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত নথিভুক্ত শিশুদের মধ্যে অন্তত এক বছরের কম বয়সি শিশু রয়েছে ৭১০জন, ১ থেকে ৩ বছর বয়সি শিশু রয়েছে এক হাজার ৭৯৩ জন, ৪ থেকে ৫ বছর বয়সি রয়েছে এক হাজার ২০৫ জন, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি রয়েছে ৪ হাজার ২০৫ জন এবং ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সি রয়েছে ৩ হাজার ৪৪২ জন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৭ হাজারের বেশি শিশু কেউ বাবা অথবা মা বা বাবা-মা উভয়কে হারিয়েছে।ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা একটি গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছি।’ সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে প্রতিদিন ১০ জন শিশু একটি বা উভয় পা হারাচ্ছে।অপারেশন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পা কেটে বাদ দেওয়া হচ্ছে কোনো অ্যানাস্থেসিয়া ছাড়াই।’ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘নিরাপদ পানি না পেলে অনেক শিশু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।’ শিশুরা পানি শূন্যতার ঝুঁকিতে বেশি রয়েছে।গাজায় প্রতিদিন গড়ে ১১৫ জন নিহত হয়েছে (গাজায় বসবাসকারী প্রতি ৫৫ জনের মধ্যে একজন)। এর মধ্যে ৪৬ জন শিশু, ৩১ জন নারী, ৩৮ জন পুরুষ।আহত হচ্ছেন ২৬৬ জন (গাজায় প্রতি ২৩ জনের মধ্যে একজন)। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে ২৭ জন। পাঁচ হাজার ৪৮০ জন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।গাজায় একই নামের অনেক শিশু নিহত হয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে সেগুলো ‘এ থেকে জেড’ পর্যন্ত বর্ণানুক্রমিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct