নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট, আপনজন: কারমাইকেল শিল্ড, বসিরহাট লীগ সহ একাধিক লীগ বন্ধ। স্টেডিয়াম সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রতিভা। প্রতিবাদ গর্জে উঠলেন জাতীয় প্রাক্তন ফুটবলার সহ ক্রীড়া প্রেমীরা।
সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণের ঠিকানা বসিরহাট মহকুমা স্টেডিয়াম। লকডাউনের পর থেকে গত সাড়ে তিন বছর এই স্টেডিয়ামে সব ধরনের খেলা বন্ধ। যার ফলে মাঠের দখল নিয়েছে আগাছা। কোথাও এক হাঁটু জল আবার কোথাও চার থেকে পাঁচ ফুট আগাছা জন্ম নিয়েছে। যে মাঠ থেকে মিহির বসু, অলকদাস, দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নাজিমূল হক, হাবিবুর রহমান, গোপাল বসু , কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, সমীর বসু সহ বহু ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক প্রতিভা উন্মোচন হয়েছে তা আজ জঙ্গলে ভরে রয়েছে। আর এই মাঠের জন্য রাজ্য ও জাতীয় স্তরে তারা সুনামের সঙ্গে বসিরহাটকে ভারত ও বিশ্বের ভৌগলিক মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানেই স্টেডিয়াম সংস্কারের অভাবে খেলা বন্ধ। একদিকে শতবর্ষের কারমাইকেল শিল্ড, বসিরহাট লীগ, অ্যাটলেটিকসহ একাধিক খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বসিরহাট প্রতিভার অন্বেষণ অনেকটাই থমকে গেছে। এই নিয়ে সোচ্চার হলেন রাজ্য জাতীয় স্তরে নামকরা প্রতিভারা। বসিরহাট টাউনহলে ক্রীড়া প্রেমি ও বিশিষ্ট জনেরা এই নিয়ে একটা কমিটির মধ্য দিয়ে আবার স্টেডিয়াম যাতে পুনরায় খেলার জায়গায় ফিরে আসে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলাররা। তারা তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যারা একসময় বসিরহাট স্টেডিয়ামে দাপিয়ে বেরিয়েছে। বসিরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন, কোভিড মহামারী কালে খেলা বন্ধ রয়েছে। সংস্কার হচ্ছে না, খুব তাড়াতাড়ি মাঠের সংস্কার হবে আবার খেলা ফিরে আসবে স্টেডিয়ামে। কিন্তু বসিরহাট স্টেডিয়ামের বাইরে বিভিন্ন মাঠে বিভিন্ন খেলা আমরা আয়োজন করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct