আপনজন ডেস্ক: এবার দক্ষিণ আমেরিকাও হাজির চীন। দেশটির অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে পেরুর চাঙ্কাই বন্দর। এরইমধ্যে বন্দরটি উদ্বোধন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এটি দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের অর্থায়নে তৈরি করা প্রথম সমুদ্রবন্দর। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হিসেবে এই বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে। লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শি জিনপিং একে ‘একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক সিল্ক রোড’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের সঙ্গে লিমায় বলেন, ‘এটি পেরুর জন্য উল্লেখযোগ্য আয় এবং বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।’ এদিকে চীনা পণ্য আমদানিতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের সহায়তা তৈরি এই নতুন মেগা বন্দর সম্পূর্ণ নতুন বাণিজ্য রুট তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করছে। এ রুটে উত্তর আমেরিকাকে সম্পূর্ণ পাশ কাটিয়ে বাণিজ্য পরিচালনা করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ওয়াশিংটন বছরের পর বছর ধরে তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি যে অবহেলা করেছে। এখন তার মূল্য দিতে হবে। ওয়াশিংটনের পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক এর সিনিয়র ফেলো মনিকা ডি বোলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময় ধরে লাতিন আমেরিকার দিকে মনোযোগ দেয়নি। এ অবস্থায় চীন এ অঞ্চলে তার আধিপত্য বিস্তারে কাজ করেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিই চীনকে এ অঞ্চলে প্রবেশের পথ তৈরি করে দিয়েছে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্দর চালু করার আগে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কসকো শিপিং ৩৫০ কোটি ডলার খরচ করে ঘুমিয়ে যাওয়া পেরুর মাছ ধরার শহরকে পাওয়াহাউসে পরিণত করেছে। যা দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাকে পরিবর্তন করে দিবে। পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তে মেগা পোর্টকে স্নায়ু কেন্দ্র বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এ বন্দরের মাধ্যমে তার দেশ এশিয়ার বাজারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ পেয়েছে। চ্যাঙ্গে বন্দর পুরোপুরিভাবে চালু হলে চিলি, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল সাংহাই এবং এশিয়ার অন্যান্য বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct