নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দুর্ঘটনার পরেও হুঁস ফিরেনি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। সার্ভিস রোডের ধারে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি রেখে চলছে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ। এতে চলাচলে সমস্যায় পড়েছেন গাড়িচালক ও পথচারীরা। এর ফলে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী নবনির্মিত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
শনিবার ভোরে জাতীয় সড়কে ফ্লাই ওভার থেকে অদূরে কাবুয়া রোড এলাকায় কালি মন্দিরের সামনে তুলসীহাটার তিন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায়। জাতীয় সড়কের উপরে ভবানীপুর চৌরাস্তার মোড়ে হচ্ছে ফ্লাইওভার। যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ফ্লাইওভারের দু’পাশে হচ্ছে সার্ভিস রোড।
ফ্লাইওভারের পাশে দক্ষিণ দিকে পুরনো ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কটিকে সার্ভিস রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সেই রোডের গা ঘেঁষে এখনও রয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি। এক কংক্রিটের ও দুটি লোহার। খুঁটি তিনটির জন্য রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ি চালকরা খুঁটিগুলিকে সরানোর দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ গুপ্তা বলেন,খুঁটি দুটির কারণে একসঙ্গে দুটি গাড়ি যাওয়া- আসা করতে পারে না। রাতে খুঁটিতে ধাক্কা লেগে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমার একদিন বাইকটি লোহার খুঁটিতে ধাক্কা লেগে যায়।
প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। রবিবার তুলসীহাটায় মৃতের পরিবারদের সমবেদনা জানাতে চাঁচল মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন আসলে এই বিষয়টি সরজমিনে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে দেখিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুঁটিগুলো ওইভাবে রয়েছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার দিগন্ত কুণ্ডু বলেন অধিগৃহীত জমির উপরে সড়ক ও ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। আর জমি নেই। রাস্তার পাশে যাঁদের জমি রয়েছে তাঁরা খুঁটি বসাতে দিচ্ছেন না। তাই এতদিন ধরে খুঁটি তিনটি রয়েই গিয়েছে। শীঘ্রই জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জায়গা নিয়ে খুঁটি দুটি সরানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct