মোল্লা মুয়াজ ইসলাম , বর্ধমান, আপনজন: বিপদ সঙ্গী হলেও সচেতন থাকা জরুরি—এই উদ্যোগে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ আয়োজন করা হল থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং শিবির। ওয়েস্ট বেঙ্গল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড নেচার অর্গানাইজেশন এর আয়োজক এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগ এতে সহযোগিতা করে। অনুষ্ঠানে সংস্থার সেক্রেটারি স্বপ্না বরাট প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তের হাতে একটি কাজু গাছ উপহার দিয়ে বলেন, “এই গাছ থ্যালাসেমিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রতীক। এটি যত বড় হবে, ততই এই রোগ নির্মূলে আমরা এগোতে পারব।”
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের পরামর্শদাতা সুবর্ণা বিশ্বাস জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতি বছর দেশজুড়ে আট হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগী চিহ্নিত হয়, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই সংখ্যা চার হাজারের বেশি। সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বাহকরা যেন বিয়ের সময় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থ্যালাসেমিয়া স্ট্যাটাস সম্পর্কে নিশ্চিত হন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক অরূপ নন্দী ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন বা দোকান থেকে কেনাকাটা সংক্রান্ত প্রতারণা এড়াতে ১৯১৫ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেন এবং ক্রেতা সুরক্ষা মেলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত জানান, “থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করিয়ে নিজের শরীর সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি।” আজ ৩৮৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা করিয়েছে এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, প্রত্যেকের ফলাফল শীঘ্রই পাঠানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct