আপনজন ডেস্ক: গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) সদস্য এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্য সরকার পাহাড়ে চারটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করবে।
এই কেন্দ্রগুলি এই অঞ্চলের যুবকদের চাকরির বাজারে কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম দেবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে অনেক যুবক শীঘ্রই স্বাবলম্বী হবে। আইটিআই-এর পড়ুয়ারাও প্রশিক্ষণ শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে যাতে চাকরি পেয়ে যায়।
চেয়ারম্যান অনীত থাপা ছাড়াও জিটিএ-র অন্যান্য সদস্য এবং পার্বত্য সম্প্রদায় উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সনরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে প্রাথমিক ফোকাস ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রচারের দিকে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, জিটিএ-র অডিট ও বকেয়া খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পাহাড়ে উন্নয়ন পর্ষদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আপডেট জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।
দার্জিলিং ও কালিম্পঙের জেলাশাসকদেরও ওই এলাকায় সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মেরামতির কাজের আপডেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে পুনর্বাসন ও উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
জিটিএ-র উন্নয়ন ও অডিট কাজের মূল্যায়নের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। পাহাড়ে ১৬টি উন্নয়ন পর্ষদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুনর্গঠন করা হবে। মনিটরিং সেল থাকবে সুষ্ঠুভাবে কাজ নিশ্চিত করার জন্য। সেলের চেয়ারম্যান হবেন জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা এবং ভাইস চেয়ারম্যান হবেন এলবি রাই। পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদেরও নজরদারি সেলে রাখা হবে। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, প্রতিটি বোর্ডের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মনিটরিং সেল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এই জাতীয় প্রতিটি বোর্ডকে বার্ষিক ২ কোটি টাকা তহবিল সরবরাহ করে।
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রী মোর্চা (বিজিপিএম) তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করছে। থাপা বলেন, যখনই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসেন, সেখানকার মানুষকে নতুন কিছু দেওয়ার থাকে। পাহাড়ের মানুষ সেটা বুঝতে শুরু করেছে। আমরা জিটিএ-তে পাহাড়ের আরও উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের দল সব সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে আছে। পাহাড়ের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে। আশা করি, পাহাড় আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct