জিয়াউল হক , চুঁচুড়া, আপনজন: চুঁচুড়া বিধানসভার দক্ষিণ নলডাঙ্গার দশ বছরের কিশোর সাগর কর্মকারের জীবনে আলো দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র সাগর কর্মকার বছরখানেক আগে এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। সেদিন মায়ের সাথে বাইরে খেলতে গিয়ে একটি মোটরবাইকের সাথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাগরের পা ভেঙে যায়। সেসময়ে চুঁচুড়ার অজন্তা সেবা সদন নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে অপারেশনের খরচ মিটিয়ে তার পায়ে একটি প্লেট বসানো হয়।এক বছর পরে প্লেটটি বের করতে গেলে আবারও বাধার সম্মুখীন হন সাগরের মা, মিনতি কর্মকার। অজন্তা সেবা সদন নার্সিংহোমে জানতে পারেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে প্লেট অপসারণের কোনো সুবিধা নেই এবং এটি করতে বেশ খরচ হবে। দিশেহারা হয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানান মিনতি দেবী।অসিত মজুমদার, ঘটনাটি শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন ছেলেটির সাহায্যের ব্যবস্থা করতে। কয়েক দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে চিঠি আসে অজন্তা সেবা সদন নার্সিংহোমে, যাতে জানানো হয়, সাগরের অপারেশনটি মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে সম্পন্ন করা হবে।অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সহায়তায় সাগরের পায়ের প্লেট অপসারণের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এই সাহায্য পেয়ে সাগরের মা মিনতি দেবী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভগবানের আসনে বসিয়েছেন এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।সাগর ও তার পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক সহায়তায় অত্যন্ত উপকৃত এবং খুশি হয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct