হাসিবুর রহমান, উস্থি, আপনজন: প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থির শেরপুর হালকার উদ্যোগে তিনদিনের তবলিগি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় শেরপুর ঈদগাহ ময়দানে। উক্ত হালকার অধীনে থাকা প্রায় ৬০ টা মসজিদ থেকে আগত মানুষের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। সোমবার হাজার হাজার মানুষের সমবেতে দুয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিনদিনের শেরপুর তবলিগি ইজতেমা।
আল্লাহ্ এর হুকুম ও নবীর তরিকা সকল মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে ঈমান - আমলকে সামনে রেখে যাতে করে সমস্ত জীবনটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তার- ই এক বিশেষ প্রচেষ্টা হল এই দ্বীনি তবলিগি ইজতেমা। উপস্থিত বহু আলেম ওলামা এর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালের শান্তির বার্তা পৌঁছে দেন । ইসলামিক ভাবাদর্শে নারীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এবং শরীয়ত সম্মত পোশাক পরা, পর্দার সাথে চলাফেরার কথাও বলেন উপস্থিত বুজর্গ গণ। শিশুদের স্কুলে বাংলা শিখার পাশাপাশি মক্তব, মাদ্রাসাতে দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্বের জন্য জোর দিতে বলেন। আগামী দিনে এই শিশুরাই সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হবে কুরআন, নামাজ ও ঈমানকে সঙ্গে নিয়ে বলে তাার জানান। মোবাইলের ক্ষতিকর দিকের কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন আজকের দিনে দুনিয়াতে সবচেয়ে ফিতনা ফ্যাসাদ এর মূল কারণ হল এই মোবাইল ও ইন্টারনেট। তাই মোবাইল থেকে দূরে সরে গিয়ে সবাইকে কুরআন ও হাদিস এর সাথে যুক্ত থাকারও বার্তা দেন তারা। তাবলীগ জামাতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে িএদিনের ইজতেমায় মুরুব্বি ও আলেম উলামারা বলেন, মানুষকে সৎ পথে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করা, মানুষের মধ্যে মানবতা ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা, হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর তরিকা অনুযায়ী চলা এবং অবশ্যই আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়ে সমস্ত জীবকুলের উপকার করা, একে অপরের সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মানব কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি কামনায় আখেরি মুনাজাত সম্পন্ন হয়। ‘দুয়া’ এর পর এই ইজতেমা থেকে বিভিন্ন ধরনের জামাত (১২০ দিন, ৪০ দিন, ২০ দিন,৩ দিন) বের হয় বলে জানা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct