আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফের বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি দেশটির অনেক নারী। তারা বলছেন, পুরুষদের ভোটের কারণে ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছেন। আর এর প্রতিবাদে ‘৪ বি’ নামের একটি আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে। এর অংশ হিসেবে তারা পুরুষদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ে, ভালোবাসার সম্পর্ক ও সন্তান জন্ম না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ‘৪ বি’ নামের এই ব্যতিক্রম আন্দোলনটির উৎপত্তি দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে ট্রাম্পের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রে এটি ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হচ্ছে। ট্রাম্পের জয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিসের সমর্থকরা ট্রাম্পকে নারী বিদ্বেষী হিসেবে অভিহিত করছেন। এছাড়া ট্রাম্পের জয়ের পর অনেক নারীকে কাঁদতে দেখা গেছে। আর এখন তারা শুরু করছেন ‘৪ বি’ আন্দোলন। ‘৪ বি’ শব্দের অর্থ হলো ‘চারটি বিষয়কে না’। কোরিয়ান ভাষায় ‘না’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘বি’। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই আন্দোলন ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যা দেশটির সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। ২০২১ সালে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ুল বলেন, এ আন্দোলন তাদের দেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে ‘সুন্দর সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার কমে যাওয়ার পেছনে ‘৪ বি’ আন্দোলনের প্রভাব রয়েছে। ব্রায়ান স্কট নামের এক এক্স ব্যবহারকারী গত ৭ নভেম্বর এক পোস্টে জানান, সার্চ ইঞ্জিনে অসংখ্য নারীকে ‘৪ বি’ সম্পর্কে সার্চ করতে দেখা গেছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডিরত মিরা চোই সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছেন, ‘নারীরা সরকার আর রাষ্ট্র নিয়ে ভাবা শুরু করেছে। আর তখনই পুরুষরা তাদের ব্যর্থ করে দিচ্ছে।’
অনেক নারী আশা করেছিলেন এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস জিতবেন এবং তাদের প্রজনন বিষয়ক অধিকারগুলো রক্ষা করবেন। এই নারীরা মনে করছেন তাদের এই আকাঙ্খাকে এবারের নির্বাচনে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
তবে অনেক নারীই আবার এই ‘৪ বি’ আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন বলেছেন, এটির কারণে কোনো পুরুষের ঘুম হারাম হয়ে যাবে এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct