আপনজন ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু মর্যাদা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, এএমইউ কেবল মুসলমানদের নয়। তিনি আরও একবার তাঁর বহুল প্রচারিত “বাটেঙ্গে তো কাতেঙ্গে” (বিভক্ত হলে হিন্দুদের জবাই করা হবে) মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আজিজ বাশার রায় বাতিল করার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এএমইউ-এর সংখ্যালঘু মর্যাদা থাকবে কিনা তা একটি নিয়মিত বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, এএমইউ শুধু মুসলিমদের নয়। এটা কীভাবে সম্ভব যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে? আলিগড়ের খাইরে একটি নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আদিত্যনাথ বলেন, সেখানে এসসি, এসটি ও ওবিসিদেরও সংরক্ষণ দেওয়া উচিত।
তিনি সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বিএসপি এবং কংগ্রেসকে এএমইউতে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ অস্বীকার করার পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, “এই দলগুলি ‘ভোট ব্যাঙ্কের’ রাজনীতি অনুসরণ করে।
তিনি বলেন, ‘এই লোকগুলো (বিরোধীরা) আপনাদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলছে। অন্ধ হবেন না। মনে রাখবেন, আমাদের ভাগ হলে আমাদের জবাই করা হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস বলে, যখনই আমরা বিভক্ত হয়েছি তখনই আমাদের হত্যা করা হয়েছে।
আদিত্যনাথ তার ভাষণে শাহী ঈদগাহ-শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা বিভক্ত বলেই এসব ইস্যুতে অপমানিত হয়েছি।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
খায়ের রাজ্যের নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি যেখানে ২০ নভেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই আসনে জয়ী হলেও বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী অনুপ বাল্মীকি হাথরস আসন থেকে লোকসভা ভোটে জয়ী হন এবং উপনির্বাচনের প্রয়োজনে সেখান থেকে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বর উত্তরপ্ররদেশের নটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। তার জন্যই ভোটের মেরুকরণের চেষ্টা যোগী আদিত্যনাথের!
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct