সেখ রিয়াজুদ্দিন, আজিম সেখ ও আমীরুল ইসলাম, বীরভূম, আপনজন: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আটককৃত দীর্ঘ দুবছর পর জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন।তারপরেই যুযুধান দুই গোষ্ঠীর কার্যকলাপে দূরত্বের ব্যবধান বাড়তে থাকে। জেলা পরিচালনায় জেলা সভাপতি নাকি কোর কমিটি ? দেখা দেয় প্রশ্ন। দীর্ঘদিন কোর কমিটির মিটিং না হওয়ার ক্ষোভ। অন্যদিকে কোর কমিটি বোলপুর কেন্দ্রিক না হয়ে জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকেও লোকজন নিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব। এনিয়ে অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৬ই নভেম্বর জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠক হতে চলেছে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশের পর জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী উক্ত বৈঠকের আহ্বান করেছেন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। জেলবন্দি হওয়ার পর জেলা সভাপতি কে হবেন! এটা নিয়েই চিন্তায় ছিল রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে কোর কমিটি তৈরি করে দেন সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য।
গরু পাচার কাণ্ডের আগে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের যে কোন সিদ্ধান্তই ছিল শেষ কথা। এক কথায় জেলার কান্ডারী ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।কোর কমিটির বৈঠকের পর আর কোর কমিটি থাকবে কিনা না! কোর কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হলে জেলা সভাপতি হিসেবে অনুব্রত মণ্ডল আগের মত একাই বীরভূমে রাজ করবেন কি না !জেল থেকে ফিরে আসার পর অনুব্রত মণ্ডল তার নিজের জায়গা উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন কি না! বা কোর কমিটি বর্ধিত করা হলে অনুব্রত মণ্ডল তাতে জায়গা পাবেন কিনা এবং তাতে তাঁর ভূমিকাই বা কতটুকু হবে ? এবং তিনি যদি কোর কমিটিতে জায়গা পান, তাহলে আগের মতোই কি তাঁর একচ্ছত্র রাজ কায়েম থাকবে? এই প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ বীরভূমে কাজল-কেষ্টর ঠান্ডা লড়াই রাজনৈতিক মহলে সবাই অবগত।
এ পর্যন্ত কোন বিজয়ার সম্মেলনীতে মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি কাজল-কেষ্টকে। দুজনেই সবাইকে নিয়ে চলার কথা বারবার করে বললেও কেষ্ট মন্ডল বা কাজল শেখকে মুখোমুখি হতে এখনো দেখা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct