জিয়াউল হক , পান্ডুয়া, আপনজন: হাইকোর্টের নির্দেশে দুই বছর পর বাড়ি ফিরলেন পান্ডুয়ার বাসিন্দা রেবতী সরেন। পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবী ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সাকির হোসেন, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পান্ডুয়া ব্লকের ইটাচনা খন্যান গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়সর্ষা এলাকার বাসিন্দা রেবতী সরেন (৫৩ বছর) দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। অভিযোগ ছিল, দুই বছর আগে তার ছেলে রাজু হেমরম তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর থেকে তিনি দিল্লিসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।অনেকটা অসহায় অবস্থায় দিন কাটানোর পর,তিনি পান্ডুয়া থানার দ্বারস্থ হন , কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি, চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে তিনি কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবী ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সাকির হোসেনের হাত ধরে মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তিনি নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেন। মামলাটি আদালতের নজরে আসার পর, বিচারক গত ৫ই নভেম্বর পুলিশকে নির্দেশ দেন যে, রেবতী সরেনকে তার বাড়িতে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে আদালত এই বিষয়ে একটি রিপোর্টও চেয়েছে, যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পেশ করতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ পান্ডুয়া থানার পুলিশ রেবতী সরেনকে তার নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে তার ছেলে রাজু এবং পুত্রবধূকে জানানো হয় যে, আজ থেকে রেবতী এই বাড়িতেই থাকবেন এবং তাদের সঙ্গেই বসবাস করবেন। আদালতের এই পদক্ষেপে রেবতী সরেনের দীর্ঘদিনের অসহায় অবস্থা অবসান হলো, এবং তিনি নিজের বাড়িতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেলেন। এই ঘটনা স্থানীয় এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এবং অনেকেই আদালতের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই রায় পরিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করেছে এবং অভিভাবকদের অধিকারের প্রতি সঠিক মর্যাদা প্রদান করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct