সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: তোলা না দেওয়ায় দোকানদারকে মারধর করে দোকানে আগুন লাগিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতরা। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের অভিযোগ, শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ আজিমগঞ্জ জংশন রেলস্টেশনের বাইরে একটি খাবারের স্টলে তোলা চাইতে যায় স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত হকার্স ইউনিয়নের নেতা লালু প্রসাদ সহ তার দলবল। এর আগেও বিভিন্ন সময় তোলা নিয়ে যেত তারা। এদিন দোকান মালিক তোলা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে তারা দোকান ছেড়ে পালিয়ে যায়। রবিবার ভোররাতে দোকানে কেউ না থাকায় দোকান লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় লালু প্রসাদ সহ মোট তিনজনের নামে জিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক।
অন্যদিকে অভিযুক্ত লালু প্রসাদের পাল্টা দাবি, এলাকা দখল কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তৃণমূলের অপরপক্ষের কর্মী মনোজ যাদবের অনুগামী সনু চৌধুরী লালু প্রসাদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বাঁচে সে। শনিবার রাতেই জিয়াগঞ্জ থানায় লালু প্রসাদ পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত সনু চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের ছেলে।
এবিষয়ে লালু প্রসাদ বলেন, ‘আমাকে প্রাণে মেরে এলাকা দখল নেওয়া তাদের মূল লক্ষ্য, তাই নিজেদের একটি ছোট্ট দোকানে আগুন লাগিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলা সাজাতে চাইছে।’
অন্যদিকে সনু চৌধুরীর বাবা অজিত চৌধুরী বলেন, মাঝেমধ্যেই আমার দোকানে তোলা নিতে আসে লালু সহ তার দলবল। এদিন তোলা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়। পরে রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ লালু সহ তার দলবল এসে দোকান লুটপাট করে ভাঙচুর চালায়, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দোকানে। এই ঘটনায় মনোজ যাদবের কাছে বিচার প্রার্থী হয়ে যায় আমার ছেলে সনু। পরে পার্টি অফিসে কি হয়েছিল আমার জানা নেই।’
সোনুর মা সুনয়না চৌধুরী বলেন, ‘ওরা দোকান ভাঙচুর করে এখন আমার ছেলের উপর দোষারোপ করছে, সে নাকি গুলি চালিয়েছে। আমরা গরীব মানুষ গুলি কোথায় পাবো?’
যদিও এবিষয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিবাদ বলে দাবি তৃণমূলের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct