এহসানুল হক, হাসনাবাদ, আপনজন: আবার পোস্টার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে,নিচে লেখা ‘ তৃণমূল সম্মান রক্ষা কমিটি ‘। বসিরহাট উত্তর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়লো তার বিধানসভার মুরারিশাহা চৌমাথা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় , এমনকি তার অফিসের সামনে এবং তার বাড়ির আশেপাশেও পড়েছে এই পোস্টার । যে এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে সেই হাসনাবাদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-এসস্কেন্দার গাজী বলেন- এটা বিরোধী দের চক্রান্ত , রফিকুল ইসলাম যেহেতু আগে সিপিএম দলে ছিল তাই সিপিএমের পক্ষ থেকে এই পোস্টার মেরেছে বলেই আমরা মনে করছি , এই পোস্টার এর সাথে তৃণমূল দলের কোন যোগ নেই। পাশাপাশি তিনি এটাও স্বীকার করেন যে বিধায়ক রফিকুল ইসলামকে এলাকায় দেখা যায় না , তিনি খুব কম থাকেন, সেই বিষয়ে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একটা ক্ষোভ আছে । তিনি এও বলেন যে গত ৩০ শে অক্টোবর তৃণমূলের একটি বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠান হয়েছিল বিধায়কের বাড়ির পাশেই। কিন্তু বিধায়ক সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই বিধায়কের অনুগামীরা শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ মুরারিসাহা চৌমাথা এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি বিধায়ক রফিকুল ইসলামকে বদনাম করার জন্য যারা পোস্টার মেরেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে বসিরহাট মালঞ্চ রোডের মুরারিশাহ চৌমাথা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিধায়কের অনুগামীরা। এদিন বিধায়ক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সন্দেশখালি এবং হাড়োয়ায় যেভাবে বিধায়কদের হেনস্থা করা হচ্ছে তার পাশাপাশি আমিও চক্রান্তের শিকার। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা পোস্টার মেরেছে, তারা দুষ্কৃতী তারা দলের লোক নয়। কিছু দুর্বৃত্তরা আমাকে চক্রান্ত করে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমি এখনো দলকে জানাইনি জানাবো। এই কাজ যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে পুলিশকে। আজকে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা আমার অনুগামী নয় তারা তৃণমূলের কর্মী। বিধায়কের অপমানিত দেখেই কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাস্তায়। এই বিষয়ে সিপিএমের প্রাক্তন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং প্রাক্তন জেলা কমিটির সদস্য সুবিদ আলী গাজী বলেন,এটা তৃণমূলেয়র অন্তদ্বন্দ্ব । সামনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন , রফিকুল ইসলাম যাতে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী না হতে পারে তার জন্য এই ক্ষোভ তৃণমূলের ভেতরেই । সিপিএম পার্টি এরকম রাজনীতি করে না ।
সরাসরি মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখে । এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন ঘরামি বলেন, বিধায়ক রফিকুল ইসলামকে এলাকায় আমরা দেখতে পাই না, বিদায় হওয়ার পরে তিনি কোন কাজ করেননি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে দুটো তিনটে লবি রয়েছে। বিধায়ককে চাপার জন্য এইরকম পোস্টার মেরেছে বলে আমরা মনে করি। এটা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct