নিজস্ব প্রতিবেদক, বর্ধমান, আপনজন: বাঙালি অনগ্রসর শ্রেণী ন্যায় মঞ্চের পক্ষ থেকে মেমারি মহারাজ অনুষ্ঠান ভবনে ওবিসি সংরক্ষণ পুনর্বহাল ও ওয়াকফ বিলের বিরোধীতা করে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধমান জেলার নানা প্রান্ত থেকে শিক্ষক, ছাত্র, চাকুরী প্রার্থী বেকার যুবক ও নানান পেশায় সংযুক্ত একশ জন মানুষ এই আলোচনা সভায় যোগদান করেন। কুসুমগ্রাম এলাকার জমিয়তের শাখা সংগঠনের সদস্য সেখ আবদুল্লাহ-র সভাপতিত্বে বিকাল আড়াইটা নাগাদ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসের এর সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবু সালেহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইন শেখ, নগর কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, প্রাক্তন আইসিডিএস সুপার ভাইজার সেলিনা বেগম, মেমারি মাদ্রাসার শিক্ষিকা নাজিয়া ফিরোজ, শিক্ষক ওসমান গনি, শিক্ষক শাকিল আক্রম, শিক্ষক তারেক আসগর প্রমুখ বক্তারা সভায় তাদের মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতি আবদুল্লাহ ভারতবর্ষে বিভিন্ন মুসলিম সমস্যা নিয়ে তার বক্তব্যের সুর বেঁধে দেন। আনোয়ার হোসেন ওয়াকফ সম্পত্তির ইতিহাস এবং বর্তমান সরকার কিভাবে আমাদের ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করতে পারে তার বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান করেন। অধ্যাপক সাইন সেখ পশ্চিমবঙ্গে ওবিসির ইতিহাস এবং পরবর্তী সঙ্কট নিয়ে উপস্থিত জনগণকে সচেতন করেন। সেলিনা বেগম আইসিডিএস-এর নিয়োগে সরকার কিভাবে দ্বিচারিতা করেছে কিছু জনকে নিয়োগ দিয়েও বর্ধমান জেলা সহ কিছু জেলা নিয়োগ না দিয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া হওয়ার পরেও ত্বরান্বিত করছে তার ব্যাখ্যা করেন। তারেক আসগর তুলে ধরেন বিগত বাম সরকার দায়ে পরে ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়ার কথা এবং বর্তমান সরকার ওবিসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা। তবে প্রত্যেক বক্তার বক্তব্যে উঠে আসে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলিম জনমানস ভীষণভাবে সংকটের মধ্যে, বক্তব্যে উঠে আসে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত সমস্যা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণায় ভর্তির সমস্যা, চাকরিতে নিয়োগ সমস্যা। এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন শ্রেণীর মুসলমান মানুষদের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ও একই সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে শুধু সভাঘরে নয় এবার রাজপথেও নামার ব্যপারে একমত হন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মহম্মদ হাফিজুর তার বক্তব্যের মাঝে বলেন ওবিসি সংরক্ষণ শুধু রক্ষা নয় ১৭ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় হারে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য আন্দোলন জারি রাখতে হবে। পরিশেষে পরিশেষে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মেমারি এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী বসিরুজ্জামান কয়াল এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তার সঙ্গে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সফল করে তুলতে সেখ মহম্মদ হাফিজুর, হাসান মন্ডল, সালমান সরকার, আব্দুল হামিদ প্রশংসনীয় ভূমিকা গ্রহণ করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct