এহসানুল হক , বসিরহাট, আপনজন: হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হল। এই উৎসবটি কালীপূজা নামেও পরিচিত। একইসঙ্গে আজ উদযাপিত হবে শুভ দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। কিন্তু বসিরহাট ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য নজীর সৃষ্টি হল, বসিরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী ইয়াকুব আলী খান দীর্ঘ ১০ বছর ধরেই তার পৃষ্ঠপোষকতায় শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ তারই উদ্যোগে সবাইকে সাথে নিয়েই শ্যামা পূজোর শুভ সূচনা হয় এদিন। শ্যামা পূজার শুভ সূচনা করেন মহারাজ সহ বসিরহাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুবীর সরকার, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু দাস, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিক্ষক বিশ্বজিৎ দাস সহ ছিলেন এলাকার দুই সম্প্রদায়ের বহু মানুষেরা। এদিন বসিরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কাউন্সিলর ইয়াকুব আলী খান বলেন, আমার পৃষ্ঠপোষকতায় ১০ বছর ধরেই বসিরহাট ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজ সাথী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্যামাপূজা হয়ে আসছে । আমার সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ তারা একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আমি মনে করি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমার ধর্ম অন্য হতে পারে, কিন্তু এলাকার অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে বিশেষ এই শ্যামা পূজা অনুষ্ঠান দশ বছর ধরে একটা ঐতিহ্য বহন করে আসছে। রাম প্রসাদ রায়,অপুর্ব ব্যানার্জি,অনুপম মজুমদার,সীদ্ধার্থ নাগ, দীপক মুখার্জি,প্রদিপ হালদাররা বলেন, দশ বছর ধরে এই এলাকায় শ্যামা পূজা হয়ে আসছে হিন্দু মুসলিম সবাই মিলে মিশে। আমরা সবাই মিলে ইয়াকুব আলী খানের নেতৃত্বে এই শ্যামা পূজা করি। তার তত্ত্ববোধনে বহু মানুষকে এই পূজা উপলক্ষ করে খাওয়ানো হয়। এটাই ভাতৃত্ব বন্ধন বসিরহাটে। আমরা মনে করি এই ভ্রাতৃত্ববন্ধন যেন অটুট থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct