সন্ন্যাসী কাউরী , পাঁশকুড়া, আপনজন: দুর্গা পূজার পর কালি পুজোতেও ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। কালী পুজোর মুখে দাম চড়েছে ফুল বাজারে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ও নিম্নচাপজনিত প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারনে পূর্ব , পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ফুলের দাম অনেকটা উর্দ্ধমুখী। বেশ কয়েক দিন ধরে চড়া দামে বিকোচ্ছে নানা ধরনের ফুল। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুলের জোগান না থাকা ও ফুলের দাম বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে।কলকাতার মল্লিক বাজার ও হাওড়া তে ফুল আসে মূলত দুই মেদিনীপুর থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াকে বলা হয় ফুলের উপত্যকা। এবছর সেই পাঁশকুড়া সহ দুই মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা হওয়ায় যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে ফুল চাষে। এমনটাই মনে করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, রাজ্যে কালী পূজাতেও জবা, অপরাজিতা সহ বিভিন্ন রকমের ফুলের ব্যাপক পরিমান চাহিদা থাকায় সমস্ত ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপুল পরিমাণ ফুল নষ্ট হওয়ায় জবা, অপরাজিতা, দোপাটি, গাঁদা সহ সব ধরনের ফুলের বাজার কয়েক দিন ধরে রয়েছে বেশ চড়া। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, দেউলিয়া, কেশাপাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের আষাড়ী, খুকুড়দহ প্রভৃতি ফুলবাজার সুত্রে জানা গেছে, গতকাল জবার কুড়ি প্রতি পিস ২ টাকা ও লাল গাঁদা ৮০ টাকা, হলুদ গাঁদা ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রজনীগন্ধা ২৫০ টাকার বেশি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পদ্ম প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গোলাপ ৩ -৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দোপাটি ১০০ টাকা ও অপরাজিতা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লাল গাঁদার মালা প্রতি পিস এর দাম ছিল ১৫ টাকা, হলুদ গাঁদা মালার দাম ছিল ২০ টাকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct