আপনজন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতেই গর্জে উঠেছে চীন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ চালান অস্ত্র বিক্রির নিন্দা জানিয়েছে চীন। দেশটি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে জানিয়েছে- সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তিকে মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর শুক্রবার তাইওয়ানের জন্য দুই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এ প্যাকেজের মধ্যে উন্নত সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম এবং রাডার ব্যবস্থাও রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক দৃঢ়তা মোকাবিলা করার জন্য বৈদেশিক নীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এমনকি তিনি বেইজিংয়ের ওপর বাণিজ্য বিধিনিষেধ বজায় রেখে এই অঞ্চলে সামরিক জোট গঠনেরও চেষ্টা করেছেন।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির এ বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর এগুলো মার্কিন বিমানবাহিনী থেকে সরবরাহ করা হবে। তাইপেয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার চালান অনুমোদনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে যৌথভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে, এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সর্বশেষ অস্ত্র চালান চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে। এটি চীন-মার্কিন সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করবে।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, চীন এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায়। বেইজিং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেবে।
বেইজিং গণতান্ত্রিক এ দ্বীপের চারপাশে প্রায় প্রতিদিনই ফাইটার জেট, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসেও তারা বড় পরিসরে এ অঞ্চলে মহড়া চালিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে একদিনে তাইওয়ান তাদের আকাশসীমায় রেকর্ড ১৫৩টি চীনা যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে।