আজিজুর রহমান , গলসি, আপনজন: পূর্ব বর্ধমানের গলসি এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ “দানা”র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাঁদের জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা নিয়ে তারা চরম উদ্বেগে রয়েছেন। মাসের পর মাস কঠোর পরিশ্রম করে উৎপাদিত ফসল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে জমিতে লুটিয়ে পড়েছে। এর ফলে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন। গলসি ১ নং ও ২ নং ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানতে পারা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গলসি ১ নং ব্লকের উচ্চগ্রাম, লোয়া কৃষ্ণরামপুর, শিড়রাই, পারাজ, পুরসা এবং লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু মাঠে ধানের গাছ ঝড়ের আঘাতে নুয়ে গেছে। এছাড়াও গলসি ২ নং ব্লকের ভুঁড়ি, গলসি, আদড়াহাটি, গোহগ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরাও একইরকম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবী করেছেন। দুটি এলাকার অধিকাংশ কৃষকই ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল। কারণ এখানকার মাটি ও জলবায়ু ধান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এদিকে ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করতে গলসি ১ ও ২ নং ব্লকের কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা সহ তাদের প্রতিনিধিদল সারে জমিনে মাঠে তদন্ত শুরু করেছেন।
স্থানীয় কৃষক গুলজার সেখ জানান, তিনি ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করছিলেন। এর মধ্যে দক্ষিণ মাঠের তিন বিঘা জমির ধান জমিতে নুয়ে পরেছে। যার কারণে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি। গুলজার বলেন, এখন ধানের শীষ চাল তৈরির পর্যায়ে থাকে। অকাল বৃষ্টির কারণে শীষ ভারী হয়ে গাছগুলো জমিতে নুয়ে পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে পাকার মুখে ধানে মই দিয়েছে প্রকৃতি। জমিতে পড়ে থাকা ধানে রোগ জীবাণুর আক্রমণ বাড়ছে। গুলজার বলেন, ধান নুইয়ে যাবার ফলে ধানের উৎপাদনও কমে যাবে। এছাড়া মাটিতে পড়ে থাকা ধান পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বেশ চিন্তায় পরেছেন তিনি। পাশাপাশি, একইভাবে তাদের এলাকার বহু কৃষকের ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি। বন্দুটিয়া গ্রামের কৃষক রফিক মল্লিক জানান, তিনি আদড়া ও বুন্দুটিয়া মাঠে আট বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। ঝড়ে বহু জমির ধান নুয়ে পড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct